• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ কৌশলে বাংলাদেশ থেকে ইয়াবা যাচ্ছে দুবাই, গ্রেপ্তার ১

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০১৯  

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম এলাকা থেকে ২৬ হাজার ২০টি ইয়াবাসহ আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানকারী চক্রের সদস্য মো. নাসির উদ্দিন সরকারকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। রোববার রাতে ৩ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর রোডে একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে আচারের দুটি বয়াম থেকে এসব ইয়াবা ও একটি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১ এর সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মো.কামরুজ্জামান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নাসির জানান দুবাইয়ের আবুধাবিতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সোহেল এই চক্রের মূল হোতা। তার বাড়ি কুমিল্লা দক্ষিণ সদর থানায়। সে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশে তার নিয়ন্ত্রণে মাদক সিন্ডিকেটে ১৫ থেকে ২০ জন রয়েছে। ২০০৮ সালে ৩ বছর মেয়াদি ভিসা নিয়ে দুবাই যায় নাসির। সেখানে আবুধাবির মোসাম্বা শহরে বহুতল ভবনের জন্য এসি তৈরীর একটি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে এসি ডাক্টিং ম্যান হিসেবে কাজ করে সে। সোহেলের সঙ্গে সেখানে তার পরিচয় হয়। সোহেল ওই প্রতিষ্ঠানে ফেব্রিকেটর হিসেবে কর্মরত ছিলো। পরবর্তীতে কোম্পানীটি বন্ধ হয়ে গেলে ২০০৯ সালের শেষের দিকে নাসির উদ্দিন দেশে ফিরে আসে। দেশে ফেরার পর সে একটি মোবাইলের দোকান দেয় কিন্তু সেখানে লোকসান হওয়ায় সে ড্রেজার মেশিনে চুক্তি ভিত্তিক মাটি কাটার কাজ শুরু করে। দেশে ফেরার পর মাঝে মাঝে সোহেলের সঙ্গে তার কথা হতো। সোহেল তাকে মোটা অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মাদক ব্যবসার কথা বললে নাসির রাজি হয়। এ পর্যন্ত সে এই সিন্ডিকেটের হয়ে প্রায় ২৫টির মতো মাদকের বড় চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারহ করে। নাসির আরও জানান, মাদকের একটি চালান নিয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিলো তার। এজন্য তাকে অগ্রিম ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় যাতে মাদকের উপস্থিতি বোঝা না যায় সেজন্য একটি বিশেষ কৌশল অবলম্বন করা হয়। সে সোহেলের নির্দেশে ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো প্রথমে কার্বন পেপারে মুড়িয়ে নেয় এরপর তার উপর কালো স্কচ টেপ দিয়ে পেচিয়ে ২টি আচার ভর্তি বয়ামের ভেতর নেয়। চালানটি নিয়ে সোমবার রাতে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল নাসিরের। এই প্রক্রিয়ায় সিন্ডিকেটের সদস্যরা এই পর্যন্ত অসংখ্য মাদকের চালান আকাশ পথে দেশের বাইরে নিয়ে গেছে। নাসিরের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়।