• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা গেলে ব্যবস্থা: হাইকোর্ট

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২০  

কোনও হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসাহীন অবস্থায় কেউ মারা গেলে তা ফৌজদারি অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। তাই চিকিৎসা অবহেলায় কেউ জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা দুটি নির্দেশনার আলোকে চিকিৎসা সেবা দেয়াসহ ৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এএম জামিউল হক, মো. নাজমুল হুদা, মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান এবং ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট অমিত তালুকদার।

এর আগে গতকাল রোববার এ রিটের শুনানি নিয়ে আদেশ দেয়ার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ১৩ জুন করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। এছাড়া রিটে সরকারি নির্দেশনা না মেনে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন। রিটকারী আইনজীবীরা হলেন অ্যাডভোকেট এএম জামিউল হক, মো. নাজমুল হুদা, মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান এবং ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান। রিটে স্বাস্থ্য সচিব, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) এবং উপ-সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে করোনা বা অন্যান্য রোগের উপসর্গ নিয়ে দেশের সরকার-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ঘুরে ঘুরে মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছেন। ওই পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরে ১১ মে দেশের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আগত রোগীদের ফেরত না পাঠিয়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা জারি করে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয়।

রিটে সরকারের নির্দেশনা সত্ত্বেও কেন সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা ছাড়াই ফেরত পাঠানো হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এছাড়া ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিবাদীর ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। রুল শুনানিকালে সরকারের নির্দেশনা মেনে সব হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলা হয়। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ওই নির্দেশনা ভঙ্গের অভিযোগে জড়িতের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, রিটে তাও জানতে চাওয়া হয়।