• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সতর্কতা ও নম্বর

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২০  

মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত সবাই। ক্ষতবিক্ষত বিশ্ব। সব কিছু বন্ধ। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশ। সারা বাংলাদেশ লকডাউন করা হয়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সবকিছু বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধের তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে।  এমন পরিস্থিতিতে থমকে আছে দেশের অর্থনীতি। স্থবির মানুষ। দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। 

আজ মঙ্গলবার আইইডিসিআরের সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সব মিলেয়ে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৪ জন। আর মারা গেছেন মোট ১৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৩ জন।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর থেকে প্রায় নিয়মিত কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর দিচ্ছিল আইইডিসিআর। এরমধ্যে ৫ এপ্রিল একবারে ১৮ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়। আর তার পরদিন ৬ এপ্রিল নতুন করে ৩৫ জন শনাক্ত বলে জানানো হয়।

এমন পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী গণসচেতনতা গড়তে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

গণবিজ্ঞপ্তি বলা হয়-

# আপনার জ্বর, হাচি, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যা হলে নিকটস্থ হাসপাতালের মোবাইল নম্বরে কল করুন। সন্দেহভাজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। 

# ঘরে বসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে কল করুন ১৬২৬৩ (স্বাস্থ্য বাতায়ন) বা ৩৩৩ নম্বরে অথবা আইইডিসিআর এর হট নম্বর ‘১০৬৫৫’ বা ০১৯৪৪৩৩৩২২২ নম্বরে।

# বিদেশফেরত ব্যক্তি অথবা জ্বর, হাচি, কাশি ও সর্দিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মসজিদে না যেতে পরামর্শ প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)।

# সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখুন, পরস্পরের মধ্যে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চলুন।

# মাস্ক পরার আগে ভালভাবে হাত সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। মাস্ক হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না। মাস্ক খোলার সময় পিছন দিক থেকে খুলুন এবং ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলে দিন এবং সাবান পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত পরিষ্কার করুন।

# মুখের লালা দিয়ে টাকা গোনা ও বইয়ের পাতা উল্টানো বন্ধ করুন। বাড়িতে অবস্থান কালে ধর্মীয় রীতি নীতি পালন, শারিরীক ব্যায়াম করা, গান শোনা, বই পড়া, সঠিক বিনোদনমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন। 

# বাচ্চাদের স্বাস্থ্যবিধি শিখান এবং তাদেরকে ঘরে রাখতে খেলাধূলা, গল্প, ছড়া, শিক্ষা ও বিনোদনমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখুন। 

# বিদেশফেরত ব্যক্তি বা ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সকলকে ১৪ দিন কোয়ারেনটাইনে থাকা নিশ্চিত করুন এবং কোয়ারেনটাইনমুক্ত ব্যক্তির সাথে স্বাভাবিক আচারণ করুন। 

# বাইরে থেকে এসে কোনো কিছু স্পর্শ না করে সাবান পানি দিয়ে হাত ধৌত করুন এবং পরিধানের কাপড় সাবান পানিতে আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে দিন। সম্ভব হলে ঘরে ফিরে সাবান দিয়ে গোসল করে নিন। 

# জ্বর, সর্দি, হাঁচি-কাশি, গলাব্যথা বা গা ম্যাজম্যাজ ভাব হলে এবং শ্বাসকষ্ট না থাকলে বাড়িতে থাকুন। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ও সর্দি কাশির জন্য এন্টিহিস্টামিন (যেমন ফেক্সোফেনাডিন, ক্লোরফেনিরামিন ইত্যাদি) খেতে পারেন। গলা ব্যথায় কুসুম গরম পানি পান করুন।  গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করতে পারেন। বাড়িতে অতিথিদের আসা বন্ধ করুন। ঘন ঘন সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে। হাত দিয়ে নাক, চোখ, মুখ ছোবেন না।

সর্বোপরি আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হোন ও ধৈর্য্য ধারণ করুন। নিজ গৃহে অবস্থান করুন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করুন।