• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

স্ত্রীদের সঙ্গে রাসূল (সা.) এর আচরণ ও বিনোদন

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৯  

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ তথা নীতিমালা।’ (সূরা:  আল আহযাব (৩৩), আয়াত: ২১)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনের প্রতিটি দিকই মুসলিম উম্মাহর সব নারী-পুরুষের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। 

কোরআনের ভাষায় তা উসওয়াতুন্নবী বা নবীর আদর্শ।

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যক্তিগত জীবনও আনন্দে পরিপূর্ণ। তিনি তার স্ত্রীদের সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বিনোদন করেছেন। যা সব নারী-পুরুষের দাম্পত্য জীবনের জন্য আদর্শ।

পারিবারিক জীবনে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনন্দঘন মুহূর্তগুলোর হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনায় উঠে এসেছে-

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম স্বামী যে তার স্ত্রীর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে। আর আমি আমার স্ত্রীদের সঙ্গে সবচেয়ে ভাল ব্যবহার করি।’

রাসূল (সা.) এর স্ত্রীদের প্রতি ভালবাসা:
রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের এতটা ভালোবাসতেন যে, হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা পাত্রের যে স্থানে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতেন। তিনিও সে স্থানে মুখ দিয়ে পানি পান করতেন।

আবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাঁড়ের যে জায়গা থেকে গোস্ত খাওয়া শুরু করতেন হজরত আশয়া রাদিয়াল্লাহু আনহাও হাড়ের ওই জায়গা থেকে গোস্ত খাওয়া শুরু করতেন।

রাসূল (সা.) এর স্ত্রীদের সঙ্গে খোশ গল্প:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঝে মাঝে স্ত্রীদের সঙ্গে বসে বিভিন্ন ঘটনা, কাহিনী ও খোশ গল্প করতেন। সব স্ত্রীই তাকে নতুন নতুন কাহিনী শুনাতেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে নিজেও স্ত্রীদের কিসসা শুনাতেন।

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তিনি আমাদের মধ্যে এমনভাবে হাসতেন, কথা বলতেন ও বসে থাকতেন, আমাদের মনেই হতো না যে তিনি একজন মহান রাসূল।

রাসূল (সা.) এর স্ত্রীদের সঙ্গে খেলাধূলা:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে খেলাধূলায় মেতে উঠতেন। একবার তিনি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়ে ইচ্ছা করে হেরে যান। কিছুদিন পর পুনরায় দৌঁড় প্রতিযোগিতায় হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হেরে যান। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আয়েশা! আজ আমি তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি, তুমি আমার সঙ্গে পারনি। এটা হলো প্রথম প্রতিযোগিতায় জিতে যাওয়ার বদলা।

রাসূল (সা.) এর স্ত্রীদের সঙ্গে ভাব-বিনিময়:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো স্ত্রীদের ভৎসনা কিংবা তিরস্কার করতেন না। তাদেরকে কোনো বিষয়ে কটাক্ষ করে কথা বলতেন না। বরং হৃদয় উজাড় করে দিয়ে মায়া ও মন জুড়ানো আকর্ষণীয় ভাবভঙ্গি ও কথা বলতেন।

স্ত্রীদের কোনো কথা তাঁর মনের বিপরীত হলে তাদের সে কথা থেকে মনোযোগ ফিরিয়ে অন্য চিন্তা করতেন। তিনি বিবিগণকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তাদের আদর, সোহাগ ও মায়া-মমতায় রাখতেন। কখনো কখনো তাদের উরুতে মাথা রেখে শুয়ে থাকতেন।

রাসূল (সা.) এর স্ত্রীদের সঙ্গে সালাম বিনিময়:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বাহির থেকে ঘরে ফিরতেন তখন অত্যন্ত খুশি মনে মুচকি হাসতে হাসতে ঘরে প্রবেশ করতেন। দরদমাখা কণ্ঠে সালাম দিতেন। কোনো ব্যাপারেই তিনি দোষ ধরতেন না। বিশ্রামের সময় বিছানার ব্যাপারেও দোষ ধরতেন না। তিনি যেভাবে বিছানা প্রস্তুত পেতেন তার ওপরই শুয়ে পড়তেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাম্পত্য জীবন মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। যার বাস্তবায়নে পারিবারিক জীবনে শান্তি ও সহাবস্থান ফিরে আসতে বাধ্য।

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বুঝা যায় যে, সুখ ও শান্তিময় জীবন যাপনে স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্কে বিকল্প নেই। জীবনকে সুখ-শান্তি ও আনন্দময় করে তুলতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণে মুমিন মুসলমানের জন্য একান্ত আবশ্যক।

মহান রাব্বুল আরামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাম্পত্য জীবনকে অনুসরণ ও অনুকরণ করার মাধ্যমে সুখ ও শান্তিময় জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।