• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মেরুদণ্ড ব্যথার মূল কারণ ও চিকিৎসা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৯  

পৃথিবীতে এমন কোনো পুরুষ বা মহিলা নেই যে, জীবনের কোনো না কোনো সময় মেরুদণ্ড ব্যথায় ভোগেননি। আর বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ড সমস্যার বেশির ভাগ কারণ ম্যাকানিকেল। আর ডিস্ক প্রলেম্পের অবস্থান তৃতীয় কিন্তু বর্তমানে এই সমস্যা দিন দিন এতই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রীতিমতো ভাবিয়ে তুলছে।

ডিস্ক হচ্ছে মেরুদণ্ডের দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী কার্টিলেজ জাতীয় এক প্রকার রাবারের মতো পদার্থ। যা মেরুদণ্ডের এক হাড়কে অপর হাড় থেকে বিভক্ত রাখে। যাতে একটি হাড় আরেকটির সঙ্গে ঘর্ষণ না লাগে এবং শরীরের ওজন বা শক এবজরভার হিসেবে কাজ করে। ডিস্কের ভেতরের অংশ নিউক্লিয়াস পালপোসাস যা জেলির মতো নরম এবং বাইরের অংশ থাকে অ্যানুলাস ফাইব্রোসাস। আঘাত পেলে, উঁচু স্থানে থেকে পড়ে গেলে, মেরুদণ্ডের লিগামেন্ট বা মাংসপেশি দুর্বল হয়ে গেলে, ভুলভাবে ভারী জিনিস তুলতে গেলে, অত্যধিক পরিশ্রম করলে বা সারাক্ষণ শুয়ে বসে থাকলে। দীর্ঘক্ষণ নিচু স্থানে পিঁড়ি, মোড়া বা মাটিতে বসে থাকলে, মেরুদণ্ডের ভুল অবস্থান, পুষ্টির অভাবে তাছাড়া আরো নানাবিধ কারণে ডিস্ক প্রলাম্প হতে পারে। আমাদের দৈনদিন প্র্যাকটিসে সারভাইকেল চার/পাঁচ, পাঁচ/ছয় এবং লাম্বার চার/পাঁচ, পাঁচ/ স্যাক্রাল এক মধ্যবর্তী ডিস্ক প্রলেপ্স রোগী বেশি দেখা যায়।

কোমরে ডিস্ক প্রলেপ্সের লক্ষণ :

১. কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা বা ভারী জিনিস উত্তোলন করতে বা হাঁচি বা কাশি দিতে কোমরে বা পায়ে ব্যথা অনুভূব অথবা পায়ে টান লাগা।

২. কোমরে ঝিন ঝিন, শিন শিন, জ্বালাপোড়া বা অবশ অবশ ভাব, এক জায়গায় অনেকক্ষণ বসলে পুরো কোমরে বা শিরদাঁড়া আস্তে আস্তে ব্যথা বেড়ে যাওয়া।

৩. চলাফেরা বা হাঁটাহাঁটিতে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়া, শুয়ে থাকলেও ব্যথা অনুভব হওয়া।

কিছু কিছু রোগীর কোমর একদিকে বেঁকে যাওয়া। এভাবে চলতে চলতে ব্যথা কোমরে অনুভূত না হয়ে শুধু পায়ের মাংসে বা শিরদাঁড়ায় কামড়ানো জাতীয় ব্যথা হওয়া।

৪. অনেক সময় কোমর ব্যথার পাশাপাশি প্রস্রাব বা পায়খানার অনুভূতি না থাকা বা সমস্যা হওয়া, পায়ের মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া বা এক পা বা দুই পা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়া।

ঘাড়ের ডিস্ক প্রলেপ্সের লক্ষণ :

১. ঘাড়ে ব্যথা হওয়া, ঘাড় নাড়াতে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়া।

২. ঘাড় একদিকে বেঁকে যাওয়া, ঘাড় থেকে এক হাতে বা দুই হাতে ব্যথা ওঠানামা করা।

৩. হাতে শিন শিন, জ্বালাপোড়া বা কন কন জাতীয় তীব্র ব্যথা বা অনেক সময় হাত অবশ ভাব বা ভারী ভারী লাগা, আস্তে আস্তে হাতের কর্মক্ষমতা কমে আসা।

৪. হাত নিচুতে ঝুলিয়ে রাখতে অসুবিধা হওয়া এবং হাতের মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া।

সতর্কতা :

ডিস্ক প্রলেপ্স হলে সম্পূর্ণ বিশ্রামে যেতে হবে। দৈনন্দিন চলাফেরা, কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হবে। বোঝা বহন নিষিদ্ধ এবং সাধারণ শারীরিক ব্যায়াম অবশ্যই বন্ধ থাকবে। কাজকর্ম বা চলাফেরা করলে সমস্যা জটিল হয়ে যেতে পারে। অবশ্যই নরম খাবার খেতে হবে যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়।

রোগ নির্ণয় :

কারো এ জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক রোগীকে শারীরিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে রোগ নির্ণয় করবেন এবং প্রয়োজন হলে বিভিন্ন প্যাথলজিকেল পরীক্ষা এবং এমআরআই করলে ও রোগ নির্ণয় করা যায়। তার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

চিকিৎসা :

গবেষণায় দেখা গেছে বেশির ভাগ ডিস্ক প্রলেপ্স রোগী অপারেশন না করে ম্যানুয়াল থেরাপি, ইন্টারফেরেনশিয়াল থেরাপি, ম্যানুপুলেশন থেরাপি, অটো ট্রাকশন ট্রইথ ডিকম্প্রেশন থেরাপি নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। এতে করে অপারেশনের জটিলতা থেকে মুক্ত থাকা যায়। তার জন্য রোগীকে অবশ্যই কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে আনুমানিক ২-৪ সপ্তাহ ভর্তি থাকতে হবে। চিকিৎসা চলাকালীন কোনো প্রকার মুভমেন্ট করা যাবে না। চিকিৎসা শেষে রোগীকে একটানা ৩ মাস নির্দেশিত এক্সারসাইজ প্রত্যহ ২/৩ বেলা চালিয়ে যেতে হবে। পসচারাল এডুকেশন শিখে নিয়ে মেনে চলতে হবে।