• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিপুল পরিমাণ পরমাণু বর্জ্য সাগরে ছড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে!

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৯  

সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শীতল যুদ্ধের সময় মার্শাল আইল্যান্ডে ৬৭বার পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। পরে সেই দ্বীপে রাসায়নিক অস্ত্রও ফেলে পেন্টাগন। সেই জায়গা থেকে বড় ধরনের বিপদ এড়াতে পরে পারমাণবিক বর্জ্যগুলো কংক্রিট দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়।

তবে সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের একাধিক দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে সেইসব ডোম বা কংক্রিটের আস্তরণ উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে পারমাণবিক ওইসব বর্জ্য সাগরের পানিতে মিশে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে মার্শাল দ্বীপে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। অথচ ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত সেই জায়গা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার স্থান। ১৯৫৪ সালের ১ মার্চ সেই দ্বীপে ১৫ মেগাটন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। আর সেটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক অস্ত্র। অস্ত্রটি পরীক্ষার পরপরই সারাদ্বীপে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়।

সেই দ্বীপের এক নারী জানান, কয়েক বছর ধরে সেখানে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হচ্ছে। দ্বীপটিতে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হওয়াটা যেন সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটছে সেখানে।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এবং তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে টম্বগুলো যদি ভেঙে যায়, তাহলে পারমাণবিক বর্জ্য পানির সঙ্গে মিশে যাবে। যা সারাবিশ্বের মানুষের জন্য বড় ধরনের হুমকি।

তবে যুক্তরাষ্ট্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা মার্শাল দ্বীপের দায় নেবে না। সেইসব বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সেই দ্বীপেরই দায়িত্ব বলে উল্লেখও করা হচ্ছে।

মার্শাল দ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিলডা হেইন বলেন, এইসব বর্জ্য কী করে আমাদের হতে পারে? এসব আমরা চাই না। আমরা তো এসব বর্জ্য তৈরি করিনি। এসব বর্জ্য আমাদের নয়। এটা তাদের।