• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিএনপিতে মতভেদ বাড়ছে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২০  

রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ বাড়ছে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে। বিভিন্ন সিদ্ধান্তে এমন মতানৈক্যের কারণে দলের হাই কমান্ড, শীর্ষ ও সিনিয়র নেতারা বিব্রত বোধ করছেন। চাপা অসন্তোষও রয়েছে তাদের ভেতর।

গত শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল অভ্যন্তরীণ বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে এসব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোনো মত প্রকাশ না করার জন্য তিনি সবাইকে সতর্কও করেছেন। সিনিয়র নেতারা এ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে পারস্পরিক সন্দেহের ইঙ্গিত মিলেছে তাদের কথায়।

সূত্রমতে, ভার্চুয়াল বৈঠকের শুরুতে তারেক রহমান বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের সব সিনিয়র নেতার মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করা হয়েছিল। তখন প্রকাশ্যে এর কোনো বিরোধিতা করা হয়নি। তিনি জানতে চান, তা হলে এখন কেন ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করা হচ্ছে।

বৈঠকে তারেক রহমানের এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র নেতারা বিভক্ত হয়ে পড়েন। একটি পক্ষ তখনকার প্রেক্ষাপটে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরে। আরেকটি পক্ষ পুরোপুরি নীরব থাকে। সূত্র জানায়, সিনিয়র নেতাদের একটি বড় অংশ মনে করছে, বিএনপি বর্তমানে যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তাতে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন কোনো বার্তা দিতে পারছে না। বিক্ষুব্ধ জনগণের মধ্যে সাড়া জাগাতে পারছে না। রাজনৈতিক কিংবা সাংগঠনিক কার্যক্রমেও কোনো গতি আসছে না। কূটনৈতিক তৎপরতায় নতুন করে বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নও ঘটেনি। শীর্ষ পর্যায় থেকে দলের সবার ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতায় চেইন অব কমান্ডও হুমকির মধ্যে পড়ছে। তবে রাজনীতি ও ঐক্যের স্বার্থে প্রকাশ্যে এসব নিয়ে তারা কিছু বলতে নারাজ। তারা চাইছেন দল পরিচালনা ও নেতৃত্বের বিষয়গুলোকে নতুন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গভীরভাবে ভেবে দেখা হোক।

তা ছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় করে তোলা কতটুকু যৌক্তিক হবে, তা নিয়েও মতানৈক্য রয়েছে শীর্ষনেতাদের মধ্যে। সিনিয়র নেতা অনেকেই মনে করছেন, খালেদা জিয়ার মামলা জটিলতা ও চিকিৎসার স্বার্থে তাকে কোনোভাবেই রাজনীতির ফ্রন্টলাইনে আনা উচিত হবে না। এতে বিএনপি সরকারের রোষানলে পড়তে পারে।

বিএনপির দুই ধারার শীর্ষ নেতাদের এমন তৎপরতায় ক্ষুব্ধ দলের হাইকমান্ড। এমন প্রেক্ষাপটে নেতাদের সতর্ক করে দলকে সংগঠিত করতে পরামর্শ চেয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আপাতত খালেদা জিয়াকে নিয়ে রাজনীতি না করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৈঠকের বিষয়ে গতকাল রোববার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সভায় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মান্নান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে সাম্প্রতিককালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দলের যেসব নেতাকর্মী মারা গেছেন, তাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয় ও তাদের পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।