• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

‘পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার’

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি করেছি। এই চুক্তি এ অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাউন্টেন্স ম্যাটার ফর ইয়ুথ’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।


শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পার্বত্যবাসীর জীবনমান উন্নয়নে বনায়ন, জীব-বৈচিত্র্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সব খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমাদের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আজ পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ কোনো পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ এলাকার জনগণ সমঅংশীদার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর প্রায় ২২ শতাংশই পার্বত্য অঞ্চল। এ অঞ্চলে পৃথিবীর প্রায় এক দশমাংশ মানুষের বাস এবং ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ মিঠা পানির উৎস। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। পর্বতমালা, নদ-নদী, বহু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণি এ অঞ্চলকে করেছে বৈচিত্র্যপূর্ণ। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন অপরিহার্য।’

তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম আধুনিকতার ছোঁয়া বিবর্জিত পার্বত্য জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসেন। তাদের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে গ্রহণ করেন নানামুখী কর্মসূচি।’


শেখ হাসিনা বলেন, ‘আঞ্চলিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীদের সম-সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা নেন। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানসমূহে পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুনির্দিষ্ট আসন সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।’

আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’

বাণীতে বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি।