• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

পাট শিল্প ধ্বংস হয়েছিল বিএনপি সরকারের অবহেলায়

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২০  

দেশের পাট শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের নেপথ্যে কাজ করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার এক বছর পরেই আদমজী পাটকল বন্ধ করেছিল। এভাবে একে একে পাট শিল্পকে ধ্বংস করে তারা।

জানা গেছে, দেশে পাট খাতের শ্রমিক অসন্তোষ শুরু হয় ১৯৯১ সালে বিএনপি শাসনামলে। তৎকালীন সরকারের একরোখা ও দুর্নীতি পরায়ণ নীতির বিরুদ্ধে পাটকল শ্রমিকরা আন্দোলন করেছিল। 

সে সময় বিএনপি-জামায়াত সরকার আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায়। এতে ১৭ জন শ্রমিক নিহত হন। আওয়ামী লীগ তখন পাট শ্রমিকদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে পাটের ন্যায্যমূল্য দাবি করে।

পরবর্তীতে ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাট শিল্পকে বন্ধ করে লাখ লাখ মানুষকে পথে বসিয়ে দেয়।

এ সময় ১২০০ কোটি টাকা লোকসানের কথা বলে বন্ধ করা হলেও ওই সময় আদমজী সরকারকে ১৫০০ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল আর ৬০০ কোটি টাকা গ্যাস বিল পরিশোধ করেছিল। তার উপর ভ্যাট-ট্যাক্স তো ছিলই। আদমজী বন্ধ করায় তখন ৩০ হাজার শ্রমিক বেকার এবং পরোক্ষভাবে ১০ লাখের বেশি মানুষ তাদের আয়ের উৎস হারায়।

আদমজী বন্ধ ঘোষণা দিয়ে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার যে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছিল সেটি অনুধাবন না করে তারা উচ্ছ্বাসে মেতে ছিল। তারা ভেবেছিল, আদমজীতে যে লোকসান হচ্ছে সেই টাকা দিয়ে উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাবে দেশ, কিন্তু তা হয়নি। 

তখন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৫০০ কোটি টাকা আধুনিকায়নে ব্যয় করলেই পাটখাতের চেহারা পাল্টে যেত।

দেশের একাধিক বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি শাসনামলে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বস্ত্র বিভাগের কোন সম্পর্ক ছিল না। পাট পণ্য রফতানি বাংলাদেশের এক সময় মূল খাত ছিলো। কিন্তু বিএনপি সরকারের অবহেলায় পাটশিল্পের অবনতি ঘটে। 

তারা বলেন, সেসময় বিএনপি সরকার এ শিল্পে দক্ষ জনবল তৈরি করেনি। তবে এই শিল্প উন্নয়নে বর্তমান সরকারের অবদান সবচেয়ে বেশি। বর্তমান সরকার সিস্টেম লস বন্ধে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে পাটকল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে আবারো সেই সোনালী যুগ ফিরে আসছে পাট শিল্পে।