• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

তিস্তা পাড়ের দুঃখ ঘুচবে চীনা প্রকল্পে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০  

বর্ষায় বন্যা আর শুকনো মৌসুমে পানির অভাব-তিস্তা অববাহিকার এমন চিত্র কয়েক দশকের। বহু আন্দোলন-আর দাবির পর ভারতের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হলেও ন্যায্য হিস্যা পায় না বাংলাদেশ। তাই বর্ষার পানি ধারণ করতে এবার নিজেরাই মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। দুই বছরের সমীক্ষায় সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা অর্থ সহায়তার প্রস্তাবনা দিয়েছে চীন। শিগগিরই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরুর আশা সংশ্লিষ্টদের।

পানির জন্য উজানের দেশ ভারতের কাছে চাতক পাখির মতো প্রতীক্ষা আর নয়। বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীর ১১৩ কিলোমিটার অববাহিকার পুরোটাই নেয়া হয়েছে এই মহাপরিকল্পনায়। কৃত্রিম জলাধারে বর্ষা মৌসুমের পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সারা বছরের চাষবাসের লক্ষ্যে ট্র্যাডিশনাল কৃষির পরিবর্তে গড়ে তোলা হবে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা। হোয়াংহো নদীর দুঃখকে আশীর্বাদে পরিণত করার অভিজ্ঞতা থেকে তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং নদী কেন্দ্রিক টেকসই উন্নয়নে চীনের সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প।

রংপুর তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন এ অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানায় বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ, সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগসহ সব আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন অর্থনৈতিক জোন, শিল্পপার্ক গড়ে উঠবে। আর কয়েকটি স্যাটেলাইট টাউন হবে প্রকল্প এলাকায়।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চল প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতিপ্রসাদ ঘোষ বলেন, সরকারের নেওয়া এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এখানে আমূল পরিবর্তন আসবে। সেই সঙ্গে ফসল উৎপাদনে কৃষকের যে খরচ সেটাও কমে আসবে।

পরিবেশগত জীবিকা আর জনমুখী শিল্পকারখানায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য। জলজ প্রাণ-প্রাচুর্য, পরিবেশ-প্রতিবেশ সবকিছুই থাকছে ভাবনায়।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবীর বিন আনোয়ার বলেন, কৃষকের পানি সমস্যার সমাধান হবে। একই সঙ্গে মাছ চাষও অব্যাহত থাকবে।

তিস্তা নদী সমন্বিত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনাটি বাংলাদেশের সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে চীন। সেটি গৃহীত হওয়ার পর বাস্তবায়ন দেখার অপেক্ষায় তিস্তা পাড়ের লাখ লাখ মানুষ।