• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৬৬ যুদ্ধবিমান, চীনের হুঁশিয়ারি

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৯  


 চীনের সঙ্গে চলমান ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’সহ বিভিন্ন সংকটের মধ্যেই তাইওয়ানের কাছে ৬৬টি ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমানসহ প্রায় ৮০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে দ্বীপাঞ্চলটিতে অস্ত্র বিক্রির আনুষ্ঠানিক অনুমোদনও দিয়ে বসেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আর এতে করে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট বড় ধরনের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদনের ঘোষণা দিয়ে বলে, বাণিজ্য সংকট বেড়ে যাওয়া, হংকংয়ে বিক্ষোভ কেন্দ্র করে চীনের হস্তক্ষেপসহ নানা বিষয়ে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে চলমান মতবিরোধ যখন তুঙ্গে, তখনই ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এতে করে দু’দেশের মধ্যে সংঘাত আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি আগেই শোনা গিয়েছিল। তবে বিষয়টি তখন অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে ছিল। বলা হয়েছিল- তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির চুক্তিটি অনানুষ্ঠানিকভাবেই থাকবে। তবে চীনের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক রাখতে এ চুক্তিতে মার্কিন সরকার না-ও এগোতে পারে বলেও ধারণা করা হয়েছিল। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন পাওয়ায় সরকারিভাবেই তাইওয়ানে সরবরাহ হবে মার্কিন অস্ত্র। এর মধ্যে থাকছে ৬৬টি নতুন শক্তিশালী এফ-১৬ যুদ্ধবিমান।

ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, অনানুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির চুক্তি হতে পারে। তবে কিছু কর্মকর্তা সতর্ক করে এও বলেছিলেন, চীনের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে, যে কারণে এই অস্ত্র চুক্তি এ মুহূর্তে না-ও হতে পারে। কেননা, তাইওয়ান দ্বীপটিকে নিজেদের একটি প্রদেশ মনে করে বেইজিং। বেইজিং ‘স্ব-শাসিত’ দ্বীপটিকে চীনের অংশ হিসেবেই দেখে। এছাড়া তাইওয়ানকে নতুন এই অস্ত্রসম্ভার দেওয়া; অঞ্চলটিতে বেশ কয়েক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিক্রি।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র যখন তাইওয়ানের কাছে বিপুল অস্ত্র বিক্রির অনানুষ্ঠানিক সবুজ সংকেত দেয়, এরপরই দ্রুত বিষয়টির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল চীন। গত শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি চীনের সার্বভৌমত্ব এবং মূল স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করে।

চীন এর ‘তীব্র বিরোধিতা’ করে জানিয়ে হুয়া চুনিং এও বলেন, আশা করি যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে ‘এফ-১৬ভি’ যুদ্ধবিমান বিক্রি থেকে বিরত থাকবে। একইসঙ্গে ওয়াশিংটন তাইওয়ানের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ বন্ধ করবে বলে আমরা দাবি করছি।

এসময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সুরক্ষা স্বার্থ রক্ষায় তৎপর থাকবে বেইজিং। এছাড়া অস্ত্র বিক্রি বন্ধ না করলে পরের ‘সব পরিণতি’ যুক্তরাষ্ট্রকে বহন করতে হবে বলে হুমকি দেন তিনি।

চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান মূলত দক্ষিণ চীন সমুদ্রের একটি দ্বীপ। এক সময় ওলন্দাজ কলোনি ছিল। তবে ১৬৮৩ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত চীনের রাজারাই শাসন করেছে তাইওয়ান। এরপর জাপানিরা নিয়ে নেয় এই দ্বীপ। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ পায় চিয়াং কাইশেকের নেতৃত্বাধীন চীনা সরকার।

২০০০ সালে তাইওয়ানের নুতন প্রেসিডেন্ট হন চেন শুই বিয়ান। ২০০৪ সালে তিনি ঘোষণা দেন- তাইওয়ান চীন থেকে আলাদা হয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়। মূলত এরপর থেকে চীনের সঙ্গে দ্বীপাঞ্চলটির দ্বন্দ্ব লেগে আছে। তারা বহির্বিশ্বের সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে।