• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জলাবদ্ধতা নিরসনে কীর্তনখোলার সংযোগে থাকা ৫ খাল পুনঃখনন করা হবে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২০  

দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানির ঢল, অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাব এবং অতিবৃষ্টির কারণে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি গত কয়েকদিন ধরেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী অঞ্চলসহ নগরের বেশিরভাগ এলাকার বাড়ি-ঘর, সড়ক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে।

আবার ভাটার সময় পানি দ্রুত নামতে না পাড়ায় অনেক স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। এ অবস্থায় বরিশাল নগর ও এর বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষায় কীর্তনখোলা নদীর সঙ্গে সংযোগ থাকা পাঁচটি খাল পুনঃখনন করার কথা জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামিম।

শনিবার (২২ আগস্ট) বরিশাল নগরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ওই সময় তিনি বলেন, বরিশাল শহরের জলবদ্ধতা নিরসন করার জন্য একটি প্রকল্প দ্রুত দেওয়ার জন্য প্রধান প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। যে পাঁচটি খাল দিয়ে নদীর পানি শহরের ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলোকে পুনঃখনন করতে হবে এবং স্লুইজ গেট দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে পানি শহরের মধ্যে ঢুকতে না পারে কিন্তু শহর থেকে পানি বের হতে পারে। এছাড়া উচু করে ফ্লাট ওয়ালও দেওয়া হবে যেন জোয়ারের সময় পানি এসে শহরে না ঢুকতে পারে।  আর এটা হলে বরিশাল শহর নদীর পানিতে প্লাবিত হবে না। বরিশালবাসীকে আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে একটি সুন্দর শহর উপহার দিতে পারবো।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ারও পরিবর্তন হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন হচ্ছে, শুষ্ক মৌসুমে বৃষ্টি, নদীর তীরের ভাঙন হচ্ছে।  আর আমরা ভাটির দেশের মানুষ, আমাদের উজানে ভারত, নেপাল, ভূটান, চীন অবস্থিত। জলবায়ু বৃষ্টির পানি উজানের দেশ থেকে ভাটিতে এসে বঙ্গোপসাগরে চলে যায়।  আর সেখান থেকে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে দুই বিলিয়ন মেট্রিকটন পলি মাটি আমাদের দেশে আসছে।  পলি আসাতে আমাদের নদীর নাব্যতা নষ্ট হয়। আমরা ড্রেজিং করলেও ছয় মাসের মধ্যে নদীগুলো পূর্বের অবস্থায় থাকে না, পরিবর্তন হয়ে যায়। যার জন্য বর্ষার সময় প্রচুর বৃষ্টিহলে পানিতে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়।

এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ডেল্টা প্লান ২১ এর আঙ্গিকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বড় বড় নদী যেগুলো ৯-১২ কিলোমিটার প্রস্থ সেগুলোকে আমরা ছোট করে ৫-৭ কিলোমিটারের ভেতরে নিয়ে আসবো। তারপর ড্রেজিং করে তার মাটি দিয়ে দুইপারের জমি রিক্লেম করবো। সেখানে আমরা ফসল উৎপাদন করবো এবং কিছু কিছু জায়গাতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লট দেওয়া হবে। যেখানে শিল্প কারখানা হবে, এলাকার লোকজনদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। কিন্তু সে সমস্ত এলাকাতে আমরা কোনো বসতি গড়তে দেবো না।  আর সেখানে নির্ধারিত জায়গাতে বাঁধ দিয়ে বনায়নও করা হবে।

মন্ত্রী  বলেন, ড্রেজিং করে নদীর প্রস্থ যদি কমিয়ে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে আমরা সেগুলোতে নিয়মিতো খনন কাজ চালিয়ে যেতে পারবো। তাহলে এখনকার মতো বন্যা হবে না। তবে মনে রাখতে হবে, আমরা ভাটির দেশের মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের ভাটির দেশে এ ধরনের পানি আসবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মানুষের দুঃখ-কষ্ট যতো কমানো যায়।  

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি নদীকে ড্রেজিং করে, শাসন করে, নদীর গতিবিধিটাকে সুন্দর ও সোজা করতে। পলি পড়ার কারণে নদীর ভেতরে ডুবন্ত চর হয়, এটা খালি চোঁখে দেখা যায় না। তখন পানির স্রোতের ধারা পরিবর্তন হয়ে যেদিকে যাবে সেদিকের পার ভাঙতে থাকবে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে অবস্থানটা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।