গৌরনদীতে সরিষার বাম্পার ফলন

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
বিকেলের গোধুলী লগ্নে সরিষা ক্ষেত যেন প্রকৃতিকে করে তোলে অপরূপ। হলুদে হলুদে সেজেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিষার মাঠ। এবার উপজেলায় সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিছুদিন আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কৃষকরা ক্ষেতের সরিষা ঘরে তুলতে পারবেন। বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, উপজেলার কৃষকের ফসলের ক্ষেতে ফুলে ফুলে ভরে গেছে প্রতিটি সরিষার ক্ষেত। মাঠের পর মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য ও মনোমুদ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করে সরিষা ফুলের সাথে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন প্রকৃতি প্রেমীরা।

বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেতেই সরিষার বীজ আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর সরিষা চাষে ভাল ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। ফলে কম খরচে অধিক লাভের আশায় কৃষকের মুখে এখন তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠেছে। জমিতে সরিষার হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্য মাঠে-প্রান্তরে শোভা পাচ্ছে।

চাষিরা জানান, প্রতিবিঘা জমিতে সরিষা চাষের শুরু থেকে ঘরে ওঠানো পর্যন্ত আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। মোটামোটি ভালো ফলন হলে উৎপাদন খরচ বাদে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়ে থাকে। তবে বাজার ভালো থাকলে সরিষায় আরও বেশি লাভবান হওয়া যায়।

গৌরনদী উপজেলার বাকাই গ্রামের কৃষক আলামিন সরদার জানান, চলতি বছর তিনি ৬০ শতক জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। গত বছর নিজস্ব পদ্ধতিতে চাষ করলেও এবার কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় বারি-১৫ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। যার অধিকাংশ ক্ষেতেই সরিষার বীজ আসতে শুরু করেছে। তিনি আরও জানান, মৌসুমে প্রতি মণ সরিষার দাম ১৮’শ থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। যা অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভবান। কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ায় তারমতো অনেক কৃষক সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন বলেও তিনি জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গত বছর এ উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিলো। এ বছর ৩৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। সরিষা চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এবছর সরিষা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।