• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

গৃহদাহে পুড়ছে বিএনপি

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২০  

দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপিতে গৃহদাহ এখন তুঙ্গে। এটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় হামলা করতেও কুণ্ঠিত হয়নি বিদ্রোহী কর্মীরা।

ঢাকা-১৮ এর উপনির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের কর্মী-সমর্থকরা মির্জা ফখরুলের বাসায় এ হামলা চালায় গত ১০ অক্টোবর। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা ওই হামলার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায়, ওই হামলার দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে নিজ দলের অনেক নেতাকর্মীদের।


ওই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে আবেদন করেছিলেন নয় নেতা। দল মনোনয়ন দেয় যুবদলের ঢাকা মগহানগর (উত্তর) কমিটির সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনকে। যার বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই অভিযোগের পাহাড় জমা ছিল। স্থানীয় প্রায় সব নেতৃত্বই তাকে মনোনয়ন না দিতে নীতিনির্ধারকদের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু নীতিনির্ধারকরা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই মনোনয়ন দেয় জাহাঙ্গিরকে। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে বঞ্চিত নেতাদের সমর্থকরা মহাসচিবের বাসার সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মির্জা ফখরুলের বাসা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ডিম নিক্ষেপ করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মহাসচিব তখন বাসাতেই ছিলেন। ঘটনাটি রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।

এর আগে মনোনয়নবঞ্চিতদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বা চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের নজির থাকলেও মহাসচিবের বাসায় হামলার ঘটনা এটাই প্রথম। হামলার পর দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এর সঙ্গে সরকারের এজেন্টরা জড়িত বলে দাবি করা হয়। পরদিন ১১ অক্টোবর রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে হামলার ওই ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন।

দলীয় সূত্র মতে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঘটনাটি সরকারের এজেন্টদের কাজ বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। অবশ্য, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’—
এমন প্রয়াস প্রায়শই লক্ষ্য করা যায়। এটা সকল রাজনৈতিক দলই করে থাকে। কোনো কিছু নিয়ে বেকায়দা অবস্থা তৈরি হলেই প্রতিপক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেরা পানি থেকে ডাঙায় ওঠা হাঁসের মতো পালক ঝাড়া দিয়ে শরীর ঝরঝরের চেষ্টা করে।

সরকারের এজেন্টরা মহাসচিবের বাসায় হামলা করেছে বলে বিএনপি দাবি করলেও একদিন পর তারা দলের স্থানীয় ১২ নেতাকে ওই ঘটনার দায়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করে। এখন প্রশ্ন হলো, ওই ১৩ জন কি আসলেই সরকারের এজেন্ট? যদি তারা সরকারের এজেন্ট-ই হয়ে থাকেন তাহলে এমন এজেন্ট বিএনপিতে আর কতজন আছেন?