• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা এসআই আকরামসহ ১১ জন জেলহাজতে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

 


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ‘ডাকাত’ সাজিয়ে কিশোর শামছুদ্দিন মিলনকে (১৬) পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরাম উদ্দিন শেখসহ ১১ জনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

আকরাম উদ্দিন শেখ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে নোয়াখালী-৪ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবণীতা গুহ এ আদেশ দেন। একই আদালত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে আরও ১০ আসামিকে জেলহাজতে পাঠান।

কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হক  জানান, মিলন হত্যা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় এসআই আকরাম উদ্দিন বুধবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

একই আদালতে মঙ্গলবার বিকেলে ১০ আসামি আত্মসমর্পণ করলে তাদেরও জেলহাজতে পাঠানো হয়। ওই ১০ জন হলেন- আজিজুল হক, আহছান উল্যা, আকবর হোসেন ওরফে সুমন, দেলোয়ার হোসেন ওরফে স্বপন, সালাহ উদ্দিন ওরফে মিলন, ওমর ফারুখ, মো. সবুজ, আবুল খায়ের ওরফে লিটু, নুর উদ্দিন ওরফে বাবু ও মো. সেলিম।

এ মামলায় আরও আট আসামি ইতিপূর্বে গ্রেফতার হন, তবে তারা এখন জামিনে আছেন। এছাড়া এখনো নয় আসামি পলাতক রয়েছেন।

২০১১ সালের ২৭ জুলাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর কাঁকড়ার টেকের বাজার এলাকায় ‘ডাকাত’ সাজিয়ে কিশোর শামছুদ্দিন মিলনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ গাড়িতে করে এনে জনতার হাতে এ কিশোরকে ছেড়ে দেয়। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতেই মিলনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পর ওই বছরের ৩ আগস্ট মিলনের মা কোহিনুর বেগম আদালতে মামলা করেন। মামলায় তিনি পুলিশের উপস্থিতিতে তার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেন। পরে ৫ নভেম্বর ২ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারহানা ভূঁইয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন।

সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশকে বাদ দিয়ে গত ৯ মার্চ আদালতে ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদালত মামলার নথি পর্যালোচনা করে অভিযোগপত্রের সাক্ষীর তালিকায় থাকা পুলিশের এসআই আকরাম উদ্দিন শেখকে আসামি করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।