• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২১  

এবার আর ছাড় পাচ্ছেন না হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। বারবার সমালোচনায় আসা এ হেফাজত নেতার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শনিবার (৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়াল রিসোর্টে মামুনুল হককে এক নারীসহ অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীসহ অবরুদ্ধ থাকার বিষয়ে সরকার তদন্ত করছে। এ ঘটনায় আপাতত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলেও হেফাজতের আগের সহিংসতার অভিযোগে চলমান মামলাগুলোকেই এখন সামনে আনা হবে। এছাড়া সম্প্রতি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত নাশকতা ও সংঘাতের ব্যাপারেও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার।

হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনার তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে। তদন্ত করা হচ্ছে। হেফাজত নেতারা মামুনুল হককে সমর্থন দিলেও আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তাতে তিনি অনেক জঘন্য অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ইসলাম ধর্মে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, সহিংসতার ব্যাপারে সরকার কোনো ছাড় দেবে না। তারা যে কর্মকাণ্ড করেছে, সেটা মোকাবিলা করতে হলে শত শত মানুষকে গুলির মুখে ফেলতে হতো। কিন্তু সেটা সরকার করেনি। সরকার ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। সারা জাতি দেখেছে এবং সারা পৃথিবীর মানুষ দেখেছে যে, ধর্মান্ধরা কী করতে পারে। এবার সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, যারা এ ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত ছিল, তাদের সবাইকে আইন অনুযায়ী কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। তারা কোনোক্রমেই রেহাই পাবে না।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকালে দেশে সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে মোট ২৫টি মামলা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার জন্য হেফাজতকে দায়ী করা হলেও মামলাগুলোতে সংগঠনটির নেতাদের নাম দেওয়া হয়নি।

তবে গত ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় ৫ এপ্রিল হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেন।

এসব অভিযোগেই সরকার এখন মামুনুল হক এবং হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কথা থেকেও সে ধারণা পাওয়া গেছে।

গত ৪ এপ্রিল মাওলানা মামুনুল হকের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে সংসদে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, মামুনুল যে নারীকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি পার্লারের কর্মী। একদিকে বউ হিসেবে পরিচয় দেয়, আবার নিজের বউয়ের কাছে বলে যে, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি এটি বলে ফেলেছি। যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে, এ রকম মিথ্যা কথা, অসত্য কথা কি তারা বলতে পারে? এরা ধর্মের নামে অধর্মের কাজ করে বলে আজ ইসলাম হুমকির মধ্যে। এরা আসলে ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের ছাড় দেয়া হবে না। যারাই ধর্মের নামে অধর্মের কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একই দিন এই বিষয়ে মুখ খোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মামুনুলের বিষয়ে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ওই নারী তার স্ত্রী নন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ওই ঘটনার পর দেখলাম ওই রিসোর্টের ওপর আক্রমণ। কেন এই আক্রমণ আমার জানা নেই। সেখানে কয়েকজন বিদেশি ছিলেন। পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে তাদের রক্ষা করেছে।

হেফাজতের তাণ্ডবের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হঠাৎ করে এই ধরনের তাণ্ডব কেন, নিশ্চয়ই এর কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। যারাই তাণ্ডব করে থাকুক তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি।