• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২০  

বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি সময় থেকেই গ্রাম বাংলার মাঠে মাঠে উত্তরের মৃদু বাতাসে সোনালী ধান দুলছে। নতুন আমন ধানে নবান্ন উৎসবকে ঘিরে কৃষকের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক। কৃষক তার উৎপাদিত ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে।

উত্তরের বাতাসে পাঁকা ধানের সুমিষ্ঠ ঘ্রাণে মুখরিত হওয়ায় মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায় কৃষকের। মাঠ ভরা সোনালী ধান বলে দেয় গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নবান্ন এসেছে, পাড়া-পড়শী, আত্বীয়-স্বজনকে নিয়ে এ এক ব্যতিক্রম কৃষকের উৎসব। নতুন ধানের চাল তৈরি করে নানান পিঠা-পুলি খাওয়ার উৎসবের অন্য রকম এক আনুষ্ঠানিকতার বার্তা বইছে।

বন্যার পর পর রোপা আমন চাষ করেছেন কৃষকরা। দুই দফায় বন্যার পানিতে রোপা আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। আর এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা তার জমিতে বপন করেন রোপা আমন চারা।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার রোপা আমনের ফলন ভালো হয়েছে। অগ্রাহণের শুরুর দিক থেকেই কৃষকের জমিতে উৎপাদিত রোপা আমন সোনালী রঙে সাজতে থাকে এবং মাঝামাঝি পথে এসে রোপা আমনের খেতে সোনালী নবান্নের বার্তা বইছে। কৃষকের জমির পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে এক সুমিষ্ট ঘ্রাণে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়। কৃষক তার জমি থেকে সোনালী রোপা আমন কাটতে শুরু করেছেন এবং কাঁটার পর তা মারাই করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। মারাইয়ের পর তা থেকে আগাছা পরিষ্কার করার জন্য নারীরা কুলা দিয়ে তা উড়িয়ে পরিষ্কার করছেন।

কৃষক মঞ্জয় বলেন, দুই দফা বন্যার পানিতে আমার রোপা আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ৯০ শতাংশ জমির জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়ে আমন ধানের চারা ক্রয় করি। জমি প্রস্তুত থেকে কাটা পর্যন্ত যে টাকা খরচ হয়েছে তা উঠাতে পারবো, কারণ এবার রোপা আমনের ফলন ভালো হয়েছে। জমির দিকে তাকালে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। সোনালী পাঁকা ধানের মিষ্টি ঘ্রাণেও মন ভরে যায়।

আরেক কৃষক শাহিন বলেন, জমিতে আমন ধান পাকতে শুরু করেছে এবং কিছু কিছু জায়গায় এরই মধ্যে কাটাও শুরু হয়েছে। গত কয়েক বছরে এবারের মতো ফলন হয়নি রোপা-আমনের। তবে ধান কাটা শ্রমিকের মূল্য একটু বেশি মনে হচ্ছে এবং বাজার ভালো পেলে বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে পারবো।

কৃষিবিদ শাহজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, বন্যায় কৃষকের বীজ তলার ক্ষতি হয়েছিল। সে জন্য আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সার, বীজ, কৃটনাশকসহ সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের জমি পরিদর্শন করে কখন কী প্রয়োজন সে অনুযায়ী পরামর্শ দিয়েছেন আমাদের মাঠ কর্মীরা। রোপা-আমনের ফলন ভালো হয়েছে এবং বাজারে কৃষক ভালো দাম পাবে বলেও মন্তব্য করেন এই কৃষিবিদ।