• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আরবি মাসগুলোর নামের অর্থ ও নামকরণের কারণ

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ইসলামের আগমনের আগে আরবের সমষ্টিগত কোনো তারিখ ছিল না। সে সময় তারা প্রসিদ্ধ ঘটনা অবলম্বনে বছর ও মাস গণনা করতো। আল্লাহর নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সন্তানরা কাবা শরিফ নির্মিত হওয়ার আগে তার আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার ঘটনা অবলম্বনে তারিখ নির্ধারণ করতো।

কাবা শরিফ নির্মাণের পর তারা বিক্ষিপ্ত হওয়া পর্যন্ত এর আলোকেই সাল গণনা করতেন। তারপর বনু ইসমাঈলের যারা হেজাজের তেহামা অঞ্চল থেকে বেরিয়ে অন্যত্র চলে যেত, তখন সেই গোত্র বেরিয়ে যাওয়ার দিন থেকে তারিখ গণনা করত। যারা তেহামাতে রয়ে যেত তারা বনি জায়েদ গোত্রের জুহাইনা, নাহদ ও সাদের চলে যাওয়ার দিন থেকে সাল গণনা করত। কাব বিন লুআইয়ের মৃত্যু পর্যন্ত এ ধারা চলমান ছিল। পরে তার মৃত্যুর দিন থেকে নতুনভাবে সাল গণনা শুরু হয়। এটি চলতে থাকে হস্তী বাহিনীর ঘটনা পর্যন্ত। ওমর (রা.) হিজরি নববর্ষের গোড়াপত্তন করার আগ পর্যন্ত আরবে ‘হস্তীবর্ষ’ই প্রচলিত ছিল। (আল-কামেল লিইবনিল আসির: ১/৯)

মহররম
ইসলামের আগমনের আগে আরবদের নিকট এই মাসে কোনো ধরনের যুদ্ধবিগ্রহ ও রক্তপাত করা হারাম এবং অবৈধ ছিল। তাই এই মাসকে মুহররমুল হারাম নামকরণ হয়েছে।

সফর
সফর শব্দটি সিফর থেকে নির্গত। এর অর্থ শূন্য হওয়া, জাহেলি যুগে সফর মাসে লোকেরা যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেলে ঘর শূন্য হয়ে যেত, তাই সফরের মাসের নাম সফর রাখা হয়েছে।

রবিউল আউয়াল
এই মাসের সময়কালে প্রকৃতিতে বসন্ত থাকে। ফসলভূমি ছুঁয়ে যায় বসন্তের আবহ। তাই এ মাসের নামকরণ হয়েছে রবিউল আউয়াল।

রবিউস সানি
এই মাসের নামের অর্থ দ্বিতীয় বসন্ত। বসন্তের শেষার্ধে পড়ার কারণে রবিউল আখের বা শেষ বসন্তও বলা হয়।

জুমাদাল উলা
জুমাদা শব্দটি এসেছে জুমুদ থেকে। এর অর্থ জমে যাওয়া বা স্থবির হওয়া। যখন এই মাসের নাম রাখা হয়, তখন ঠাণ্ডার মৌসুম আরম্ভ হয়। কেননা শীতলাবহের কারণে তরল প্রদার্থ ও অন্যান্য প্রায় জিনিস জমাট বেঁধে যায়। এ জন্য এই মাসের নাম জুমাদাল উলা (প্রথম) রাখা হয়।

জুমাদাল উখরা
এই মাসের সময়কালে শৈত্যপ্রবাহের প্রচণ্ডতায় পানি পর্যন্ত জমে যেত। তাই এই মাসের নাম এভাবে রাখা হয়েছে।

রজব
রজব শব্দটির অর্থ সম্মান করা। আরববাসী এ মাসকে সম্মান করতো এবং শাহরুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর মাস বলতো, তাই এ মাসের নাম রজব বা সম্মানিত মাস রাখা হয়।

শাবান
শাবান শা’ব শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর অর্থ হলো বের হওয়া, শাখা-প্রশাখা হওয়া, প্রকাশ হওয়া, বিদীর্ণ হওয়া। যেহেতু এ মাসে বিপুল কল্যাণ প্রকাশিত হয়, মানুষের রিজিক উৎপাদন ও বণ্টিত হয় এবং তকদিরের ফয়সালাগুলোও বণ্টন করে দেওয়া হয়—তাই এ মাসের নাম শাবান রাখা হয়েছে।

রমজান
রমজান শব্দের মূল অর্থ হচ্ছে জ্বালানো-পোড়ানো। যেহেতু এই মাসে মুমিনের গুনাহগুলো জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ভষ্ম করে দেওয়া হয়, তাই এ মাসের নাম রমজান রাখা হয়।

শাওয়াল
শাওয়াল শব্দটি শাওল ধাতু থেকে নির্গত, অর্থ বাইরে গমন করা। এখানে আরববাসী নিজ ঘরবাড়ি থেকে ভ্রমণে বের হতো। তাই এর নামকরণ হয় শাওয়াল।

জিলকদ
‘জিল’ অর্থ ওয়ালা আর ‘কাদাহ’ অর্থ বসা, যেহেতু এ মাসও সম্মানিত একটি মাস। তাই আরবরা এ মাসে যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে বাড়িতে বসে থাকতো। সে হিসেবে এ মাসের নামকরণ।

জিলহজ
জিলহজ শব্দটি হয়তো হাজ্জ থেকে নেওয়া হয়েছে। অর্থ একবার হজ করা অথবা শব্দটি হিজ থেকে নেওয়া হয়েছে। অর্থ বছর। যেহেতু এই মাস বছরের শেষাংশে আসে এবং এর দ্বারাই পূর্ণ বছরের সমাপ্তি ঘটে, তাই এই মাসের নামকরণ হয়েছে জিলহজ।