• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

২০৯ রানে হারলো বাংলাদেশ, সিরিজ শ্রীলঙ্কার

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৩ মে ২০২১  

সকালে ধারাভাষ্যকাররাই বলছিলেন, উইকেট খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। দৃঢ় প্রত্যয় থাকলেই টিকে থাকা সম্ভব এই উইকেটে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার মানসিকতায় প্রতিরোধ গড়া যায়নি। উল্টো শ্রীলঙ্কার কাছে তারা দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হেরেছে ২০৯ রানে। এই হারের ফলে লঙ্কানদের কাছে ১-০ তে সিরিজও হেরেছে মুমিনুলরা। এই মাঠে প্রথম টেস্টটি ড্র হয়েছিল।

ক্যান্ডিতে গতকাল থেকেই হার চোখ রাঙাচ্ছিলো বাংলাদেশকে। ৪৩৭ রানের অসম্ভব লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৭৭ রানে হারায় ৫ উইকেট। অবশ্য লঙ্কানরা যে লক্ষ্য দিয়েছিল সেটি করতে হলে টেস্টের ইতিহাসই বদলাতে হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় সেটি সম্ভব না হলেও শ্রীলঙ্কান স্পিনারদের আধিপত্য ও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সফরকারীরা কতক্ষণ টিকে থাকে সেটি-ই ছিল দেখার। শেষ দিনের প্রথম সেশনে তা আর পারলো কই বাংলাদেশ? ঘণ্টা খানেকের বেশিই টিকতে পারলো মিরাজদের লড়াই।

দিনের তৃতীয় ওভারেই অভিষিক্ত জয়বাবিক্রমার ঘূর্ণিতেই পরাস্ত হন লিটন। স্বাগতিকরা লেগ বিফোরের আবেদন করলে অনফিল্ড আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গে তুলে দেন আঙুল। কিন্তু লিটনের সংশয় থাকায় তিনি রিভিউ নিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য তাতেও লাভ হয়নি। নষ্ট হয়েছে রিভিউ। স্বীকৃতি ব্যাটসম্যানের শেষ জুটি ভাঙে লিটনের ১৭ রানের বিদায়ে।

এর পরও মিরাজ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন। তাকে সঙ্গ দেন তাইজুল। কিন্তু বামহাতি স্পিনার ৩০ বলই টিকতে পারলেন। ২ রান করা তাইজুলকে কিপারের গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন অফস্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

ধারাভাষ্যকাররা শেষ দিনেও বলেছেন, উইকেটের চরিত্র অতটা বিপজ্জনক নয়। তাই দৃঢ় প্রত্যয় প্রয়োজন টিকে থাকতে হলে। সেই কাজটিই সকাল থেকে করার চেষ্টা করেন মিরাজ। কিন্তু অপর প্রান্ত নড়বড়ে থাকায় কাঙ্ক্ষিত সমর্থন পাননি। তাইজুলের পর মেরে খেলার খেসারত দিয়েছেন তাসকিন। রামেশের ঘূর্ণিতে ৩৩ বলে ৭ রান করে এই পেসার তালুবন্দি হন করুনারত্নের।

কিছুক্ষণ পর ফিরে যান মিরাজও (৩৯)। জয়াবিক্রমার ঘূর্ণিতে সুইপ খেলতে গিয়েই তিনি ধরা পড়েন শর্ট লেগে থাকা নিসাঙ্কার হাতে। আর এই উইকেট নিয়েই লঙ্কানদের হয়ে ইতিহাস গড়েছেন জয়াবিক্রমা। অভিষেকে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন শ্রীলঙ্কান কোনও স্পিনার। এর পর রাহিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশের ইনিংসের লেজ ছেঁটে দেন তিনি। আর তাতে অভিষেকে বামহাতি কোনও স্পিনার নিলেন ১১ উইকেট। বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২২৭ রানে।

শ্রীলঙ্কা: ৪৯৩/৭ ডি. (করুনারত্নে ১১৮, থিরিমান্নে ১৪০; তাসকিন ৪/১২৭) ও ১৯৪/৯ ডি. (করুনারত্নে ৬৬, তাইজুল ৫/৭২)

লক্ষ্য: ৪৩৭

বাংলাদেশ: ২৫১ (তামিম ৯২, মুমিনুল ৪৯; জয়াবিক্রমা ৬/৯২) ও ২২৭