• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

রোনালদো সারাদিন আয়না দেখে সময় কাটাতেন: ফোরলান

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০১৯  


সম্প্রতি পেশাদারি ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন ২০১০ বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জয়ী দিয়েগো ফোরলান। ইউরোপে পেশাদারি ফুটবলের শুরুতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দুই বছর কাটিয়েছিলেন এই উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। যেখানে তিনি সতীর্থ হিসেবে পান তখনকার উঠতি তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও ডেভিড বেকহামের মতো তারকাদের। 

এবার সেই সময়ের ওল্ড ট্রাফোর্ডের কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন, বেকহাম ও রোনালদো নিয়ে কিছু তিক্ত এবং মজাদার স্মৃতি উগরে দিয়েছেন ফোরলান। ৪০ বছর বয়সী তারকা জানান, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ড্রেসিংরুমে অত্যন্ত ‘আত্মভিমানী’ ছিলেন, ‘যিনি সবসময় আয়নার সামনে থাকতে চাইতেন।’ 

অবশ্য ওল্ড ট্রাফোর্ডে রোনালদো কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন তা স্বীকার করেছেন ফোরলান। বেকহাম রিয়াল মাদ্রিদে চলে যাওয়ার পর তার ট্রেডমার্ক ‘সাত নাম্বার’ জার্সির উত্তরাধিকারী হয়েছিলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার। পরে ২০০৩-০৯ সাল পযর্ন্ত রেড ডেভিলদের জার্সিতে খেলে সিআর সেভেনও নাম লেখান সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। এরপর যোগ দেন জুভেন্টাসে। 

ওল্ড ট্রাফোর্ডে থাকাকালীন স্যার ফার্গুসনের অধীনে নিজের জাত চেনান রোনালদো। সেই সময়ের তরুণ তুর্কী রোনালদোর স্মৃতি হাতড়াতে গিয়ে ফোরলান বলেন, ‘রোনালেদো ড্রেসিংরুমে অত্যন্ত আত্মভিমানী ছিলেন, বেকহামের মতো ছিলেন না তিনি। ক্রিস্টিয়ানো সবসময় আয়নার সামনে থাকতে চাইতেন। সে সারাদিন আয়না দেখে সময় কাটাতেন।’ 

ইউনাইটেডে নিজের শেষ মৌসুমে রোনালদোকে সতীর্থ হিসেবে পান ফোরলান। ২০০৪ সালে উরুগুইয়ান তারকা রেড ডেভিলদের ছেড়ে স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়ালে যোগ দেন। 

ফোরলান স্মৃতিচারণ করেছেন ইউনাইটেডের সাবেক কোচ স্যার ফার্গুসন এবং বেকহামের মধ্যে ঘটে যাওয়া আলোচিত দ্বন্দ্ব নিয়েও। ইংলিশ তারকার ওল্ড ট্রাফোর্ড ছাড়ার পেছনে এটিকে কারণে হিসেবে দেখেন তিনি। ফোরলান জানান, ২০০৩ সালে রোনালদোর পূর্বসূরী বেকহাম এবং স্যার ফার্গুসনের মধ্যে কুখ্যাত ‘হেয়ারড্রায়ার ট্রিটমেন্ট’ নিয়ে তর্ক লেগেছিল।

উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড স্মৃতি থেকে জানান, আর্সেনালের বিপক্ষে এফএ কাপে হারের পর স্যার ফার্গুসন ড্রেসিংরুমে বেকহামের দিকে একটি বুটে লাথি মারেন, সেই বুট ইংলিশ তারকার মুখে আঘাত করে এবং চোখের ওপর কেটে যায়। এর কয়েক মাস পর বেকহামকে রিয়ালের কাছে বিক্রি করে দেয় ইউনাইটেড। 

ফোরলান বলেন, ‘লকার রুমে ফার্গুসন এবং বেকহাম একজন আরেকজনকে অপমান করতে শুরু করেন। দুজনে একে অপরকে বাজেভাবে অপমান করতে থাকতে এবং তা আগের চেয়ে খারাপের দিকে যাচ্ছিল। ফার্গুসন আলোচনা শেষ হয়েছে এমন ভাব নিয়ে ওঠে যাচ্ছিলেন কিন্তু এরপরই বেকহাম কিছু একটা বলেন। কোচ (ফার্গুসন) ঘুরে দাঁড়িয়ে পড়ে থাকা একটি বুটে লাথি মারেন তার (বেকহাম) দিকে।’ 

‘আমরা দেখলাম রক্ত এবং ভাবলাম ‘না, এমন ঘটনা ঠিক নয়’। কিন্তু মুহুর্তের মধ্যে দেখলাম দুজনে মারামারির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। রয় কিন এবং ফন নিস্তলরয় তাদেরকে আলাদা করার জন্য ওঠে আসে।’