• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ফেতরা দিন সঠিক নিয়মে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২২  

বর্তমানে অনেকে সদকাতুল ফিতর বা ফেতরা দিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং বিভিন্ন গ্রহণযোগ্য ফতোয়া বিভাগ নির্ধারিত মূল্য অনুসরণ করে৷ এ ক্ষেত্রে সবাই সর্বনিম্ন গমের মূল্য অনুযায়ী ফেতরা দেয়৷ ফেতরার ক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়ার মূলনীতি হলো, যত বেশি এবং মূল্যবান বস্তু দিয়ে আদায় করা যায়, তত বেশি নেকি৷ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বললেন, ‘দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি, তা দান করা উচিত।’ (বোখারি : ৩/১৮৮)।

পাঁচ ধরনের খাদ্যদ্রব্য দ্বারা ফেতরা দেওয়া যায়—খেজুর, পনির, যব, কিশমিশ এবং গম৷ গম ছাড়া বাকি চারটি দ্রব্য দ্বারা তিন কেজি তিনশত গ্রাম এবং গম দ্বারা আদায় করলে দেড় কেজির চেয়ে একটু বেশি দিতে হয়৷

এবার যদি কেউ খেজুর দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করতে চায়, তাহলে আজওয়া (উন্নতমানের) খেজুরের মূল্য প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা হলে একজনের ফেতরা হয় ৩ হাজার ২ শত ৫৬ টাকা। মধ্যম ধরনের খেজুর প্রতি কেজি ৩শ’ টাকা হলে একজনের ফেতরা হয় ৯শ’ ৭৭ টাকা। কিশমিশ প্রতি কেজি ২শ’ ৩০ টাকা হলে একজনের ফেতরা হয় ৭শ’ ৪৮ টাকা। পনির প্রতি কেজি ৫শ টাকা হলে একজনের ফেতরা হয় ১ হাজার ৬শ’ ২৮ টাকা। গম প্রতি কেজি ৪৫ টাকা হলে একজনের ফেতরার পরিমাণ হয় ৭০ টাকার মতো৷

সামর্থ্যানুযায়ী ফেতরা আদায় করা কর্তব্য৷ কিন্তু সমাজে যাদের খেজুরের মূল্য দিয়ে ফেতরা আদায়ের‌ সামর্থ্য আছে, দেখা যায়, তারা সর্বনিম্ন গমের মূল্য দিয়ে আদায় করে৷ তেমনিভাবে যাদের কিশমিশের মূল্য দিয়ে আদায়ের সামর্থ্য আছে, তারাও গমের মূল্য দিয়ে আদায় করে৷ এ ক্ষেত্রে হওয়া উচিত ছিল এমন, যে ব্যক্তি উন্নতমানের আজওয়া খেজুরের হিসেবে ফেতরা আদায়ের সামর্থ্য রাখে, সে তা দিয়েই আদায় করবে। যার সাধ্য পনিরের হিসেবে দেওয়ার, সে তা-ই দেবে। এর চেয়ে কম আয়ের লোকেরা খেজুর বা কিশমিশের হিসাব গ্রহণ করতে পারে। আর যার জন্য এগুলোর হিসেবে দেওয়া কঠিন, সে গম দ্বারা আদায় করবে। এটিই উত্তম নিয়ম।

সাহাবায়ে কেরাম আধা সা গম দিয়ে ফেতরা আদায় করেছেন। এর কারণ হলো, তখন আধা সা গমের মূল্য এক সা খেজুরের সমান ছিল৷ মুআবিয়া (রা.)-এর যুগে গমের ফলন বৃদ্ধি পেলে আধা সা গমকে ফেতরার অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের এক সা’র মতো গণ্য করা হতো। (আল ইসতিজকার : ৯/৩৫৫)। তাই শুধু গমের মূল্য দিয়ে ফেতরা না দিয়ে সামর্থ্যানুযায়ী খেজুর, পনির এবং কিশমিশের মূল্য দিয়েও সদকাতুল ফিতর আদায় করার চেষ্টা করি৷