• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জিহ্বার মাধ্যমে যেসব গুনাহ হয়ে থাকে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১  

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে জিহ্বা অন্যতম একটি। এর সঠিক ও সুন্দর ব্যবহারে মানুষ হয় জান্নাতি। জিহ্বার মাধ্যমে মানুষ কথা বলে। আর এ কথার দ্বারা মানুষ যেমন ভালো কাজ করে আবার এর দ্বারা সংঘটিত হয় অনেক গুনাহের কাজ। তাই জিহ্বার হেফাজতের নিশ্চয়তায় জান্নাতের নিশ্চয়তা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি।

এ জিহবা দিয়ে মানুষ কথা বলে। কথা যেমন হতে পারে দুনিয়ার সবচেয়ে ভালো কাজ, আবার কথার মাধ্যমেই ইচ্ছা-অনিচ্ছায় হতে পারে গুনাহ। যে গুনাহগুলো আবার মারাত্মক ও জঘন্যতম। কিছু গুনাহ মহান আল্লাহও ক্ষমা করবেন না। কারণ মহান আল্লাহ তাঁকে অস্বীকারের ঘোষণা দেওয়া ও গিবতকারীর গুনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। যা ঘটে থাকে জিহ্বার মাধ্যমে। এছাড়াও আরো যেসব গুনাহ হয়ে থাকে তাহলো-
১. মিথ্যা বলা;
২. ঠাট্টা বা বিদ্রূপ করা;
৩. খারাপ, অশ্লীল কথা বলা বা গালি দেওয়া;
৪. নিন্দা করা;
৫. অপবাদ দেওয়া;
৬. গিবত করা বা চোগলখোরী করা;
৭. ইসলামি শরিয়তের প্রয়োজন ছাড়া কোনো গোপনীয়তা ফাঁস করা;
৮. মুনাফেকি করা বা দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করা;
৯. বেহুদা ও অতিরিক্ত কথা বলা;
১০. আনন্দ বিনোদনের জন্য বাতিল ও হারাম জিনিষ নিয়ে আলোচনা করা;
১১. কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ উপনামে ডাকা;
১২. অভিশাপ দেওয়া;
১৩. যে কারো মিথ্যা প্রশংসা করা;
১৪. মিথ্যা স্বপ্ন বলা;
১৫. অনর্থক চিৎকার বা চেঁচামেচি করে কাউকে কষ্ট দেওয়া;
১৬. জিহ্বা দিয়ে হারাম বস্তুর স্বাদ নেওয়া ই খাওয়া;
১৭. জিহ্বা দিয়ে খরাপ ইঙ্গিত বা অঙ্গভঙ্গি দেখানো;
১৮. জিহ্বা দিয়ে কাউকে ব্যঙ্গ করা;
১৯. বিশেষ করে
এ জিহ্বা দিয়ে আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে তার সমকক্ষ বলে উল্লেখ করে শিরক করা, কারো প্রশংসা করা; কারো কাছে কিছু চাওয়া বা প্রার্থনা করা ইত্যাদি।

এসব ক্ষেত্রে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি হাদিস বেশি বেশি স্মরণ করা। যার যথাযথ ব্যবহারে যেমন রয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ। আবার যার সঠিক ব্যবহার না হলে দুনিয়া ও পরকালে নিশ্চিত ধ্বংস। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত সাহল ইবনু সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী অঙ্গ (জিহ্বা) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী অঙ্গ (লজ্জাস্থান) হেফাজতের নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেবো।’ (বুখারি)

সুবহানাল্লাহ! কতো সুন্দর কথা। কত বড় পুরস্কারের ঘোষণা। ছোট দুইটি কাজ- একটি জিহ্বা যথাযথ ব্যবহকার করা এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করা। মুমিন মুসলমানের জন্য এ দুইটি কাজই সহজ। প্রয়োজন শুধু সদ্বিচ্ছার।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিহ্বার খারাপ কথা ও কাজ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। জিহ্বাকে হেফাজত করে জান্নাতের নিশ্চয়তা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।