• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

যে কারণে মুমিনের রূহ ঝুলে থাকবে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারি ২০২১  

প্রয়োজন পূরণে ঋণ একটি লেন-দেন প্রক্রিয়া। কুরআন সুন্নায় উত্তম ঋণ আদান-প্রদানে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। কিন্তু যারা ঋণ নেয়ার পর তা পরিশোধে নানা অজুহাত কিংবা তালবাহানা করে থাকে, তারা কি জানেন যে, ঋণ পরিশোধ না করার পরিণতি কত ভয়াবহ? এ সম্পর্কে বিশ্বনবি কী বলেছেন?

হ্যাঁ, যথা সময়ে ঋণ পরিশোধ না করা ইসলামে মারাত্মক অপরাধ। ঋণ নিয়ে তালবাহানা করা কিংবা পরিশোধ না করা ব্যক্তির রূহ ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। আর ঋণ দেয়ার ইচ্ছা না থাকলে তার নেকগুলো ঋণদাতার আমলনামায় যুক্ত হয়ে যায়। হাদিসের বর্ণনায় তা সুস্পষ্ট।

- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুমিন ব্যক্তির রূহ তার ঋণের কারণে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে; যতক্ষণ না পর্যন্ত তা পরিশোধ করা হয়।’ (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মুসনাদে আহমাদ)

- হজরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর খাদেম হজরত আবুল কাসেম রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি ঋণ গ্রহণ করে কিন্তু সে ঋণ পরিশোধ করার ইচ্ছা পোষণ করে না, পরিশোধের জন্য তৎপর হয় না; তার নেকিসমূহ ঋণদাতার নেকির সঙ্গে মিশানো হবে, (ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির) নেকি না থাকলে ঋণদাতার গোনাহসমূহ ঋণী ব্যক্তির ওপর চাপানো হবে।’ (বাইহাকি, তারগিব, তারহিব)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে যদি কেউ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে তবে, তা পরিশোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করা। কেননা এ অবস্থায় যদি কেউ মৃত্যুবরণ করে আর তার ঋণ পরিশোধ করা না হয় তবে তার রূহ থাকবে ঝুলন্ত। আর যদি ঋণ পরিশোধের কোনো ব্যবস্থা না হয় তবে ঋণদাতার আমলানামায় ঋণগ্রহীতার সব নেক দিয়ে দেয়া হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঋণ পরিশোধ করার ব্যাপারে তালবাহানা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। ঋণ থাকলে তা মৃত্যুর আগেই পরিশোধ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।