• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মদ খেলে কি ৪০ দিন শরীর নাপাক থাকে?

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে মদ পান শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। শয়তান চায় এর মাধ্যমে মানুষে মানুষে শত্রুতা, হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে। আল্লাহর স্মরণ ও ইবাদত থেকে মানুষকে গাফিল করতে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয় মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারির তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তাহলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ তা‘আলার স্মরণ ও সালাত থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না? (সুরা আল-মায়েদা, আয়াত ৯০-৯১)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন মদ্যপান হারাম করে দেয়া হলো তখন সাহাবিগণ একে অপরের নিকট গিয়ে বলতে লাগলো, মদ হারাম করে দেয়া হয়েছে এবং সেটাকে শিরকের পাশাপাশি অবস্থানে রাখা হয়েছে। (ত্বাবারানি কাবির ১২৩৯৯, মুসতাদরাকে হাকিম ৭২২৭)

ইসলামে মদ পান জঘন্য অপরাধ। হারাম। তবে মদ পান করলে ৪০ দিন পর্যন্ত শরীর নাপাক থাকে, এমন কথা কোথাও নেই।

তবে মদ পান করলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত নামাজ কবুল হয় না এমন স্পষ্ট হাদিস আছে। তবে এ জন্য নামাজ বাদ দেওয়া যাবে না। আল্লাহর কাছে তওবা করে নিয়মিত নামাজ আদায় করে যেতে হবে।

রসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি মদ পান করে ৪০ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হয় না। হ্যাঁ, সে যদি তওবা করে আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করেন। (সুনানে তিরমিজি ১৮৬২)

মাদক সেবন করলে ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয়না এটা নবীজি সা. এর হাদিস। নবীজি সা. এর হাদিস কতটা যুক্তিযুক্ত এ প্রশ্ন করাই অবান্তর। আল্লাহ্‌র রসুল সা. হাদিসে যা বলেছেন যেভাবে বলেছেন তার সবই সত্য এবং অবশ্য মাননীয়।
 
عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ شَأْنَ الْخَمْرِ بِشَيْءٍ، فَقَالَ: نَعَمْ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ رَجُلٌ مِنْ أُمَّتِي فَيَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ صَلَاةً أَرْبَعِينَ يَوْمًا»

হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস রা.-এর খোঁজে সওয়ার হলেন। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবন আমর রা.-এর নিকট উপস্থিত হলাম। জিজ্ঞেস করলাম হে আবদুল্লাহ্ ইবন আমর! আপনি কি রসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মদ সম্বন্ধে কিছু বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ, আমি রসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি আমার উম্মতের কেউ শরাব পান করলে আল্লাহ তাআলা তার চল্লিশ দিনের নামাজ কবুল করবেন না। (সুনানে নাসায়ি ৫৬৬৪)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি শরাব পান করে, মাতাল হয়, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হয় না। সে মারা গেলে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। আর যদি সে তওবা করে, তবে আল্লাহ তা‘আলা তার তওবা কবুল করবেন। সে পুনরায় শরাব পানে লিপ্ত হলে কিয়ামতের দিন অল্লাহ তাআলা অবশ্য তাকে ‘রাদগাতুল খাবাল’ পান করাবেন। সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রসুলাল্লাহ! ‘রাদগাতুল খাবাল’ কী? তিনি বলেন, জাহান্নামীদের দেহ থেকে নির্গত পুঁজ ও রক্ত। ইবনে মাজাহ।

নামাজ কবুল হবে না, এর উদ্দেশ্য হলো, সে সওয়াব থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিতই থাকবে। তবে নামাজ পড়লে নামাজের সিহহাত আদায় হয়ে যাবে তথা ঐ নামাজগুলো পুনরায় পড়তে হবে না। নামাজ আদায় হবে তবে ফজিলত ও সওয়াব শূন্য হবে তার নামাজ।