• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সুসময়ে আল্লাহর কাছে দোয়া

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

বিপদ-আপদে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, দোয়া করা একজন মুমিনের কর্তব্য ও স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। যেহেতু আল্লাহই মুমিনের চূড়ান্ত ভরসাস্থল। কোরআনে আল্লাহ তার সাহায্য প্রার্থনা করতে বলেছেন ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে। আল্লাহ বলেন,

وَ اسۡتَعِیۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَ الصَّلٰوۃِ وَ اِنَّهَا لَکَبِیۡرَۃٌ اِلَّا عَلَی الۡخٰشِعِیۡنَ
আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় তা বিনয়ী ছাড়া অন্যদের ওপর কঠিন। (সুরা বাকারা: ৪৫)

নবিজিরও (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অভ্যাস ছিল যে কোনো বিপদের সময় নামাজে দাঁড়ানো। হোজাইফা (রা.) বলেন, নবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১৩১৯)

কিন্তু শুধু দুঃসময়ে বা বিপদে পড়লেই আল্লাহর সাহায্য চাওয়া, আল্লাহকে স্মরণ করা, সুসময়ে আল্লাহকে ভুলে থাকা, দোয়া না করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে দুঃসময়ে আল্লাহর সাহায্য পেতে সুসময়ে বেশি বেশি দোয়া করার নির্দেশনা দিয়ে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, রাসুল (সা.) বলেন,

مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَسْتَجِيبَ اللَّهُ لَهُ عِنْدَ الشَّدَائِدِ فَلْيُكْثِرِ الدُّعَاءَ فِي الرَّخَاءِ
যে ব্যক্তি চায় বিপদ আপদে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করুন, সে যেন তার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের সময়েও আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করে। (সুনানে তিরমিজি: ৩৩৮২)

কোরআনে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা তার নেক বান্দা ও নবি জাকারিয়া (আ.) ও তার স্ত্রীর প্রশংসা করে বলেছেন, তারা সুসময়ে-দুঃসময়ে, আশা ও ভয় সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ডাকতেন। আল্লাহ বলেন,

فَاسۡتَجَبۡنَا لَهٗ ۫ وَ وَهَبۡنَا لَهٗ یَحۡیٰی وَ اَصۡلَحۡنَا لَهٗ زَوۡجَهٗ اِنَّهُمۡ کَانُوۡا یُسٰرِعُوۡنَ فِی الۡخَیۡرٰتِ وَ یَدۡعُوۡنَنَا رَغَبًا وَّ رَهَبًا وَ کَانُوۡا لَنَا خٰشِعِیۡنَ
আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম আর তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া, আমি তার নিমিত্তে তার স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব দূর করে দিয়েছিলাম। তারা সৎ কাজে ছিল ক্ষিপ্রগতি, তারা আমাকে ডাকতো আশা নিয়ে ও ভীত হয়ে, আর তারা ছিল আমার প্রতি বিনয়ী। (সুরা আম্বিয়া: ৯০)

তাই আল্লাহ যখন ‍সুখ-সাচ্ছন্দে রাখেন, বিপদ থেকে মুক্ত রাখেন, তখনও বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করা, তার কাছে দোয়া করা উচিত, শুকরিয়া আদায় করা উচিত, তাহলে আল্লাহ নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেবেন।