• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

দীনি ইলম অর্জনে সঠিক নিয়তের গুরুত্ব

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪  

দীনি ইলম শিক্ষা করা, আল্লাহর পরিচয়, ইমান ও ইসলামের বিধিবিধান সম্পর্কে জানা মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও আমল। জ্ঞান ছাড়া সঠিক পদ্ধতিতে যথাযথ আমল করা যায় না। যে পরিমাণ ইলম অর্জন না করলে ইমান ঝুঁকির মুখে পড়ে বা কোনো ফরজ-ওয়াজিব ইবাদত সঠিকভাবে করা যায় না, ওই পরিমাণ ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানদের ওপর ফরজ। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ইলম বা জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ (ইবনে মাজা: ২২৪)

মুসলমানদের প্রত্যেকটি এলাকায় কিছু সংখ্যক আলেম বা দীনি জ্ঞানে বিশেষজ্ঞতা অর্জন করা ব্যক্তি থাকাও জরুরি। যেন সাধারণ মানুষ কোনো বিষয়ে সমস্যায় পড়লে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারে। কোরআনে প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে কিছু মানুষকে দীনি ইলমে বিশেষজ্ঞতা অর্জনের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

وَ مَا کَانَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لِیَنۡفِرُوۡا کَآفَّۃً فَلَوۡ لَا نَفَرَ مِنۡ کُلِّ فِرۡقَۃٍ مِّنۡهُمۡ طَآئِفَۃٌ لِّیَتَفَقَّهُوۡا فِی الدِّیۡنِ وَ لِیُنۡذِرُوۡا قَوۡمَهُمۡ اِذَا رَجَعُوۡۤا اِلَیۡهِمۡ لَعَلَّهُمۡ یَحۡذَرُوۡنَ

আর মুমিনদের জন্য সংগত নয় যে, তারা সবাই একসঙ্গে অভিযানে বের হবে। তাদের প্রতিটি দল থেকে কিছু লোক কেন বের হয় না, যেন তারা দীনের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং তাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা যখন তাদের কাছে আসবে, তখন তাদেরকে সতর্ক করতে পারে, যেন তারা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে। (সুরা তাওবা: ১২২)

বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসে আলেম বা দীনি বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের প্রভূত মর্যাদা ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ বলেছেন, যারা ইমান এনেছে এবং যাদেরকে ইলম দান করা হয়েছে আল্লাহ তাআলা তাদের মর্যাদা অনেক উঁচু করে দেন। (সুরা মুজাদালা: ১১) যে ইলম অর্জন করতে পেরেছে এবং সে অনুযায়ী বিচার-আচার করা ও মানুষকে শেখানোর তওফিক লাভ করেছে, তাকে হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঈর্ষার উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

কিন্তু ইলম অর্জনের সওয়াব লাভ করার জন্য সঠিক নিয়ত জরুরি। ইলম শিক্ষা করতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ইলম অনুযায়ী আমল করার জন্য। সম্পদ অর্জন করা, মানুষের কাছে জ্ঞানী হিসেবে সম্মান লাভ করা, সাধারণ মানুষের সামনে বড়াই করা বা আলেমদের সাথে তর্কে বিজয়ী হওয়ার নিয়তে ইলম শিক্ষা করলে সওয়াব তো হবেই না বরং শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

لَا تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ لِتُبَاهُوا بِهِ الْعُلَمَاءَ وَلَا تُمَارُوا بِهِ السُّفَهَاءَ وَلَا تخيَّروا بِهِ الْمَجَالِسَ فَمَنْ فَعَلَ ذلك فالنار النار

তোমরা আলিমদের উপর বাহাদুরী প্রকাশের জন্য, নির্বোধদের সাথে ঝগড়া-বিতর্ক করার জন্য এবং জনসভার উপর বড়ত্ব প্রকাশ করার জন্য (ধর্মীয়) জ্ঞান শিক্ষা করো না। যে ব্যাক্তি এরূপ করবে, তার জন্য রয়েছে আগুন আর আগুন। (সুনানে ইবনে মাজা: ২৫৩)