• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

রুম হিটার ব্যবহার করে বিপদ ডেকে আনছেন না তো!

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২১  

শীত পড়তেই অনেকেই ব্যবহার করছেন রুম হিটার। এটি তাৎক্ষণিক ঘর গরম করলেও শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। হিটার ব্যবহারে হয়তো আপনি সাময়িকভাবে ঘরকে গরম করতে পারবেন। তবে নিয়মিত রুম হিটার ব্যবহারে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে কঠিন রোগ।

কী ভাবে কাজ করে হিটার? অধিকাংশ হিটারের ভেতরেই গরম ধাতুর পাত বা সিরেমিক কোর থাকে। ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য গরম হাওয়া বের করে এটি।

হিটার থেকে নির্গত গরম বাতাস ঘরের আর্দ্রতাকে শুষে নেয়। এমনকি এই রুম হিটার আবহাওয়ায় উপস্থিত অক্সিজেনকে পুড়িয়ে দেয়। বুঝতেই পারছে হিটার ব্যবহারের ফলে অজান্তে কতটা ক্ষতি করছেন নিজের!

>> হিটার থেকে যে গরম বাতাস বের হয়, তা ত্বককে অত্যন্ত রুক্ষ ও শুষ্ক করে দেয়। হিটারের কারণে অনিদ্রা, মাথাব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কনভেনশান হিটার, হ্যালোজেন হিটার ও ব্লোয়ারের অত্যধিক ব্যবহার ব্যক্তিকে অসুস্থ করে তুলতে পারে।

এসব হিটার থেকে যে রাসায়নিক নির্গত হয়, তা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে। বিশেষ করে অ্যাজমা ও অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে হিটার ব্যবহার করবেন না।

>> ভুলেও হিটারের পাশে বসবেন না। অ্যাজমার রোগীরা রুম হিটারের কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকেলে হিটার থেকে দূরে থাকুন। এ ছাড়াও ব্রঙ্কাইটিস ও সাইনাসের রোগীরাও এই যন্ত্রের কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন।

হিটারের বাতাস এসব রোগীর ফুসফুসে কফ জমাতে শুরু করে। এ কারণে হাঁচি-কাশি হতে পারে। আবার ফুসফুসে জমে থাকা কফ শুকিয়ে গেলে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হতে পারে।

>> বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাজমার রোগী বা বিভিন্ন অ্যালার্জিতে যারা ভোগেন তারা সাধারণ হিটারের পরিবর্তে অয়েল হিটার ব্যবহার করতে পারেন। এই হিটারে তেল ভরতি পাইপ থাকে, যা হাওয়াকে শুষ্ক হতে দেয় না। আর সাধারণ হিটার ব্যবহার করলে, কিছুক্ষণ পর তা বন্ধ করে দিন। সাইনাস ও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থাকলে হিউমিডিফায়ারের ব্যবহার সবচেয়ে ভালো। এটি বায়ুতে আর্দ্রতা বজায় রাখে, ফলে শ্বাসকষ্ট হয় না।

>> গ্যাস হিটার থেকে সাবধানে থাকুন। গবেষণা অনুযায়ী, যে বাড়িতে গ্যাস হিটার বা এলপিজি হিটার বেশি ব্যবহার করা হয়, সেসব পরিবারের শিশুদের মধ্যে অ্যাজমার সমস্যা অধিক দেখা যায়।

এ ছাড়াও কাশি, হাঁচি, বুকে ঘরঘর শব্দ ও ফুসফুসের ক্ষতির লক্ষণ বেশি দেখা যায় এসব পরিবারেই। এই হিটার থেকে কার্বন মনোঅক্সাইড নির্গত হয়। যা ছোট শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যের ওপর কুপ্রভাব ফেলে।

>> ভুলেও কখনো কম্বলের মধ্যে হিটার রাখবেন না। এতে আগুন পর্যন্ত লাগতে পারে।

প্রতিদিন হিটার ব্যবহার করলে- কাশি, মাথাব্যথা, বমি বা গা গোলানো, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, নাক বন্ধ হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি, অ্যাজমার রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

যদি হিটার ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে কিছু সাবধানতা মেনে চলা ভালো। কী কী করবেন?

>> নির্দিষ্ট সময় পরপর চা, কফি বা স্যুপ পান করুন। এর ফলে গলার আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

>> ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

>> পর্যাপ্ত পরিমাণে হালকা গরম পানি পান করুন।

>> ঘরের কোনো অংশে পাত্র ভরতি পানি রাখুন। এর ফলে বাড়ির ভেতরের বায়ু আর্দ্র থাকবে।

>> হিটারের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট রাখুন।