হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আছে কি না জানা যাবে রক্ত পরীক্ষায়
বরিশাল প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্তের রোগী বাড়ছে। এদের মধ্যে অনেকেই হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণও করছেন। হার্ট অ্যাটাক শুধু বয়স্কদের মধ্যেই ঘটে, এখন আর এটি সঠিক নয়। কমবয়সীদের মধ্যেও অনেক সুস্থ ও ফিট মানুষও সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকে হঠাৎ করেই মারা যাচ্ছেন।
কয়েক বছর আগেও অনেকের ধারণা ছিল, শারীরিকভাবে ফিট ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তবে বর্তমানে এই ধারণা অস্পষ্ট বলে মনে হচ্ছে।
সম্প্রতি যেসব সেলিব্রিটিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাতের ঘটনা ঘটেছে, তাদের বেশিরভাগই ফিট, সুস্থ ও নিয়মিত কাজে সরব থাকার পরও এমনটি ঘটেছে। প্রয়াত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেকে’র ঘটনা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। মঞ্চে গান গাওয়ার সময় তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন।
তাহলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নির্ণয় করার উপায় আছে কি? বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি রক্ত পরীক্ষা আছে যা একজনের হার্টের সমস্যার আগাম ইঙ্গিত দিতে পারে। যার নাম কার্ডিও-সি প্রতিক্রিয়াশীল প্রোটিন (এইচএস সিআরপি)।
কার্ডিও সি-রিঅ্যাকটিভ (এইচএস সিআরপি) প্রোটিন পরীক্ষা কি?
কার্ডিও সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন যা উচ্চ সংবেদনশীল সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (এইচএস সিআরপি) নামেও পরিচিত। এটি একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষা।
ভারতের ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটের ভিজিটিং কনসালটেন্ট, সিনিয়র কনসালট্যান্ট কার্ডিও-থোরাসিক অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জন (প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুরোগ) ডা. বিক্রম কেশরী মোহান্তির মতে, শরীরের কোথাও কোনো সংক্রমণ হলে সিআরপি বা স্ট্যান্ডার্ড সিআরপি ওই প্রদাহ চিহ্নিত করে।
রক্তে সিআরপি’র স্তর যদি বেড়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে হার্টের ধমনীতে ব্লকেজ, হার্ট অ্যাটাক, হঠাৎ হার্ট অ্যারেস্ট, স্ট্রোক বা অস্ত্রের ধমনীতে ব্লকেজ হওয়ার ঝুঁকি আছে।
আরেক চিকিৎসক ভারতের ফরিদাবাদের অমৃতা হাসপাতালের প্রফেসর ও এইচওডি, কার্ডিওলজিস্ট ডা. বিবেক চতুর্বেদী জানান, কার্ডিও সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন বা এইচএসসিআরপি একটি পরীক্ষা যা সম্প্রতি প্রাধান্য পেয়েছে।
এটি নিম্ন স্তরের বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের চিহ্নিতকারী। যেমন- বিভিন্ন সংক্রমণ, স্ট্রেস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদির মতো কিছু অটো-ইমিউন রোগের বিরুদ্ধে আমাদের শরীরের প্রতিক্রিয়া।
যখন আমরা পোকামাকড়ের কামড়ের পরে আমাদের ত্বকে লাল দাগ দেখতে পাই, এটি প্রদাহের কারণে হয়। প্রদাহ স্বল্প মেয়াদে উপযুক্ত, তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য উপস্থিত থাকলে তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
হার্টে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের একটি নিম্ন স্তরের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক, আকস্মিক মৃত্যু ও এনজিওপ্লাস্টি বা বাইপাস ইত্যাদির ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত।
তিনি আরও বলেন, ‘কার্ডিও সি রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন বা এইচএসসিআরপি হলো জিগস পাজলের একটি অংশ যা হার্টের স্বাস্থ্য। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ মাত্রার এইচএসসিআরপি অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।’
তবে এটি মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যে কোনো সাম্প্রতিক সংক্রমণে সিআরপি ও এইচএসসিআরপি কয়েক সপ্তাহের জন্য উন্নত হতে পারে। এর মানে এই নয় যে আপনি হার্ট অ্যাটাক করতে যাচ্ছেন!
যদি একজন সুস্থ মানুষের এইচসিপিআর বেশি হয়, তখন দুবার পরীক্ষা করা উচিত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে। তাহলে নিশ্চিত করা যেতে পারে যে ব্যক্তির হৃদরোগের ঝুঁকি আছে কি না।
যদি বারবারই এইচসিপিআর সংখ্যা বাড়ে তাহলে তা ইঙ্গিত দেয় এখন সুস্থ থাকলেও ভবিষ্যতে ওই ব্যক্তির ধমনীতে বাধা, হার্ট অ্যাটাক, হঠাৎ হার্ট অ্যারেস্ট, স্ট্রোক ও পেরিফেরাল ধমনী রোগের মতো হৃদরোগের ঝুঁকি আছে।
এ কারণে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের নিয়মিত বার্ষিক হার্ট চেকআপ করানো উচিত। যার মধ্যে প্রতিটি সিস্টেমের জন্য রক্ত পরীক্ষা (কিডনি, লিভার, চিনি ও কোলেস্টেরল), বুকের এক্স-রে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি ও প্রয়োজনে ট্রেডমিল পরীক্ষাও করা উচিত।
আর অবশ্যই ৩০ বছর থেকেই সবার উচিত নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা, ওজন পরিমাপ, শর্করা ও কোলেস্টেরল পরিমাপ করা। এর পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে জীবনধারায় পরিবর্তন, নিয়মিত শরীরচর্চা ও ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর সাথে স্বাচিপ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- ৭১ বছর পর সূর্যের কাছে আসছে এই ধূমকেতু, দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও
- জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- বরিশাল প্লানেট পার্কের উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিজলায় জালের দোকান ও গোডাউনে অভিযান, কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ
- খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে টিউবওয়েলে উঠছে না পানি, চরম দুর্ভোগে মানুষ
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- বরিশালে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল সহ ৬ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য আটক
- প্রথমবারের মত ইমাম ও এতিম হাফেজদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ
- বানারীপাড়ায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
- স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার ফেসবুকে পিস্তলের ছবি দিয়ে হুমকির অভিযোগ