• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বই পাঠের অভ্যাস শিশুর মানসিক বিকাশে সহায়ক

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮  

মানুষ আজন্ম জ্ঞান পিপাসু। তার সবকিছুই জানার আগ্রহ থাকে। তার অদম্য জানার স্পৃহাকে একমাত্র দমন করতে পারে বই। যা হাতের কাছে পাওয়া যায় তাই যদি মানুষ পড়ে তা হলেও অনেক কিছু শিখতে পারে।
বই পড়ার গুরুত্ব যিনি উপলব্ধি করেছেন, বই পড়াকে যিনি অভ্যাসে পরিণত করতে পেরেছেন, তার এটি একটি নেশার মতো। বই পড়াতে আনন্দ আছে। এ আনন্দ একমাত্র পাঠকই বুঝতে পারবেন। যিনি কিছু জানতে চান, তাকে বই পড়তেই হবে। কারণ জ্ঞানার্জনের জন্য বই পড়ার চেয়ে সহজ মাধ্যম দ্বিতীয়টি নেই।
বই পড়ার জন্য প্রথম প্রয়োজন অভ্যাস। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, শৈশব থেকেই এই অভ্যাস তৈরি করতে হবে, এটা অত্যন্ত সহজ ব্যাপার। অভিভাবকদেরকেই এ দায়িত্বটা নিতে হবে।
সব শিশুই বই ভালবাসে, বিশেষ করে আনন্দমূলক কোন বই। এ ধরনের কোনো বই হাতের কাছে পেলেই তারা পড়তে চেষ্টা করে। ভালোভাবে পড়তে না পারলে বানান করে পড়ে। তাও যদি না পারে তবে ছবি দেখে বুঝতে চায়। সব শিশুদের মধ্যে এ আগ্রহটা আছে।
অভিভাবকদের উচিত শিশুদের এ আগ্রহটা কাজে লাগানো। শিশুরা যখন একটু পড়তে শেখে, তখন সে অনেক কিছুই পড়তে চায়। অনেক অভিভাবক তাতে বাধা সৃষ্টি করেন। ক্লাসের পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য কোন বই পড়তে দিতে তারা নারাজ। এটা ঠিক নয়; বরং উচিত বই পড়ার ব্যাপারে তাদের উৎসাহিত করা। নতুন বই সংগ্রহ করে দেয়া, ভাল ভাল বই কিনে দেয়া।
পাঠাভ্যাস যেহেতু জন্মগত কোন বিষয় নয়, সেই জন্য মানব শিশুর ক্ষেত্রে পাঠাভ্যাসের চর্চা, পরিশীলন ও পাঠাভ্যাস বৃদ্ধির একান্ত প্রয়োজন রয়েছে। শিশুকে খুশি করার জন্য আমরা অনেক আয়োজন করি। শিশুকে ঘিরে আমরা সবাই গড়ে তুলতে চাই এক আলোময় আনন্দলোক। যদি শিশুটির শৈশবের গোড়াপত্তন হয় গল্পের বই পড়া ও শোনার মধ্যে, তবে সে এই অভ্যাসকে সহজপ্রাপ্য নিত্য অভ্যাসের বিষয় হিসাবেই নেবে। এভাবেই পুস্তকের সঙ্গে শিশুর ঘটবে পরিচয় ও ভালোবাসা।
সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস সৃষ্টি ও এর উন্নয়ন এবং মানুষকে গ্রন্থ ও গ্রন্থাগার মনস্ক করা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। অপরাপর যে কোন অভ্যাসের ন্যায় পাঠাভ্যাসও শিশু-কিশোর বয়স থেকে গড়ে তোলা যেমন সহজ, তেমনি কার্যকরও বটে। শৈশব ও কৈশোরে পড়বার ও জানবার আগ্রহ থাকে সব চাইতে তীব্র। আবেগ ও কৌতুহলে মনে হয় রোমাঞ্চিত। সে বয়সেই ছেলে মেয়েদের বই পড়ার দিকে আগ্রহী করে তোলা প্রয়োজন।
বই মানুষের জীবনের নিত্য সঙ্গী । শিক্ষা অর্জনের একমাত্র ধারক ও বাহক হলো বই। বই মানুষের মনের খোরাক জোগায়, সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটায়। মানুষের প্রতিভাকে ফুলের মতো প্রস্ফূটিত করে। যে জাতি যত শিক্ষিত সেই জাতি তত উন্নত। আর এই উন্নতির মূলে রয়েছে বই। বই মানুষের জীবনকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যায়।
মনীষী লিও টলস্টয় বলেছেন, মানুষের জীবনের শুধু তিনটি জিনিসের প্রয়োজন সে তিনটি জিনিস হলো বই, বই এবং বই।
ওমর খৈয়াম বলেছেন, রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে, কিন্তু একটি বই অনন্ত যৌবনা যদি বইটি তেমন বই হয়।
গ্রন্থপাঠ ও গ্রন্থ ব্যবহার দুই-ই মানুষের মনে সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গঠনের হাতিয়ার হয়ে কাল থেকে কালান্তরে ধাবিত হয়। গ্রন্থ পাঠ ও গ্রন্থের ব্যবহারের নেশা যদি মনের মধ্যে সৃষ্টি হয় তাহলে পাঠাভ্যাস বৃদ্ধিও একটি সহজতম ব্যবস্থা। সাধারণত জানবার অনুসন্ধান থেকে পাঠাভ্যাসের আগ্রহ বাড়ে।
একটা বই পড়ে আপনি কতটা লাভবান হতে পারবেন তা কল্পনাও করতে পারবেন না, তা হবে অশেষ ও সীমাহীন। অবসর সময়ে যখন কেউ থাকে না আপনার সঙ্গে কথা বলার, তখন আপনি নিশ্চিন্তে এই নিস্তব্ধ জগতের সাথে মিতালী পাতিয়ে ফেলে অন্য জগতে চলে যেতে পারেন।
তাই পরিশেষে বলব, আজকের শিশু আগামী দিনের দেশের যোগ্য নাগরিক, তাই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কোমলমতি শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলতে, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত,তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়তে অবশ্যই শিশুদের বই পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।