• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কেএনএফের আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছেন দুর্গম পাহাড়ের বাসিন্দারা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩  

সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছেন বান্দরবানের রুমার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দারা। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে পাইন্দু ইউনিয়নের মুয়ালপি পাড়ার ৪০ জন বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে রুমা উপজেলা সদরে চলে আসেন। পরে উপজেলা প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তাদের মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানের কারণে কেএনএফের সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম বিভিন্ন পাড়ায় অবস্থান করছে। সেখানে সম্প্রতি গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। তাদের অবস্থানের কারণে আতঙ্কিত হয়ে বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে।

এদিকে শনিবার রাতে মুয়ালপি পাড়া থেকে শিশু ও নারীসহ ৪০ জন বাসিন্দা গ্রাম ছেড়ে রুমা সদরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তায় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির কারণে পাড়ার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও আরও অনেকে পালিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। পাড়ায় এখন মানুষজন নেই।’

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন ৪০ জন বাসিন্দা। তারা বর্তমানে রুমা সদরে আশ্রয় নিয়েছেন।’

এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন শিবলী বলেন, ‘কেএনএফ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত হয়ে পাইন্দু ইউনিয়নের মুয়ালপি পাড়ার নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ ৪০ জন লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে রুমা সদরে চলে এসেছেন। তাদের রুমা সদরের মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।’

প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় তাদের খাবার সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।