• শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৫ ১৪৩০

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগের বিকল্প নাই: প্রধানমন্ত্রী মহানবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই সফলতা-শান্তি নিহিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন কাল পর্যটন শিল্পের প্রসারে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের জনসভায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়ার ভেতর দিয়েই শিশুর সামাজিকীকরণ ঘটে: প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় ভাষণের ৪৯তম বার্ষিকী আজ তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগে জনগণকে সম্পৃক্ত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ চুরি করা অর্থ দিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়, তাদের নেতা কে: প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্মের জন্য সমুদ্রগুলো যেন সমৃদ্ধির উৎস হয়ে থাকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে বাংলাদেশ পুতুলের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ দিয়ে দেবে: প্রধানমন্ত্রী কোরআন পোড়ানো নিয়ে শেখ হাসিনার নিন্দা

সত্যের জয় হবেই: প্রধানমন্ত্রী

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৩  

লোডশেডিংয়ে মানুষের কষ্ট হওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি তা দূর করতে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। বলেন, আমরা তো লোডশেডিং সম্পূর্ণ দূর করে দিয়েছিলাম। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধটা যদি না হতো, করোনাভাইরাস যদি দেখা না দিতো- আজকে যদি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও মুদ্রাস্ফীতি দেখা না দিতো, তা হলে কোনও কষ্টই হতো না। আজকে আমাদের বাইরের থেকে অত্যন্ত কষ্ট করে জিনিস জোগাড় করতে হচ্ছে। তারপরও সুখবর কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে। আমরা আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করবো, যাতে গ্যাস-কিনতে পারি, আনতে পারি, এই কষ্ট দূর করতে পারি।

শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি একবার যখন মানুষের অভ্যাস হয়ে যায়, এরপর যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে তার কষ্টটা বাড়ে। আর যখন বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় বিদ্যুৎ ছিলই না, তখন তো হাহাকার করতে হতো।

আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন অবাধ হয়নি বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওরা নির্বাচন অবাধটা শিখলো কোথা থেকে? ওরা অবাধ নির্বাচন তো করতেই জানে না। ভোট চুরি করে সারা জীবন চলছে। তারা নিজেও চোর, সবাইকে চোর দেখে। জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করে তারা সম্পদের মালিক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কথায় কথায় আমাদের সমালোচনা করে, কিন্তু তারা বাংলাদেশের মানুষকে কি দিয়েছিল? হাজার হাজার কোটি টাকা মানিলন্ডারিং করেছে। খালেদা জিয়ার দুই ছেলের মানিলন্ডারিং করা ৪০ কোটি টাকা উদ্ধার করে আনতে সক্ষম হয়েছি। এটা তারা ভুলে গেছে। আর এখনও বাইরে বসে তারা সমানে চোরা টাকা দিয়ে, আর জামায়েত ইসলামি, যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতা বিরোধীরা মিলে আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদ করার চেষ্টা করে। কিন্তু সত্যের জয় হবেই। এটা কেউ কখনও মুছে ফেলতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশটাকে অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে পুড়িয়ে যারা হত্যা করেছে, বোমা, গ্রেনেড হামলা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে তাদের মুখে এখন গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়। এটাই লাগে সব থেকে দুঃখের।

শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। কিন্তু এখন তেল, গ্যাস, কয়লার দাম বেড়ে গেছে। সব থেকে অবাক কয়লাই পাওয়া যাচ্ছে না। আগে একসময় যারা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে, তারাই এখন আবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে। যার জন্য আমাদের কিনে আনতে সমস্যা হচ্ছে।

প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবো বলেই আমরা দিয়েছি। আমাদের অনেক জ্ঞানী, গুণী টকশোতে ফাটিয়ে ফেলছেন, এটা (বাজেট) নাকি আমরা বাস্তবায়নই করতে পারবো না। প্রতিবার বাজেটের আগে যে কথা বলে আসছে, তারা কিন্তু ওই কথাই বলে বেড়াচ্ছে। আমরা আমাদের কাজ করে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন করে যাচ্ছি।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সালমান ফজলুর রহমান, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।