• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

পাহাড়ি অঞ্চলের নিরাপত্তায় যাত্রা শুরু করছে ‘মাউন্টেন পুলিশ’

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩  

দেশের পাহাড়ি অঞ্চল নিরাপদ রাখতে যাত্রা শুরু করছে নতুন ইউনিট মাউন্টেন পুলিশ। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধীনে এই ইউনিটে থাকবে ২২শ’রও বেশি সদস্য। যারা দায়িত্ব পালন করবেন তিন পার্বত্য জেলায়। ইতোমধ্যে ইউনিটটির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন সবসময়ই চ্যালেঞ্জের। সেনাবাহিনী, বর্ডারগার্ড, জেলা পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়নের পাশাপাশি সেখানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নও কাজ করে। আর্মড পুলিশের অধীনে তিন পার্বত্য জেলায় নতুন একটি বিশেষায়িত ইউনিট করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। এর নাম হবে মাউন্টেন পুলিশ।

নতুন ইউনিটের প্রধান হবেন একজন ডিআইজি। এছাড়াও পাঁচ অতিরিক্ত ডিআইজি, ১১ পুলিশ সুপার, ২১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ২১ সহকারী পুলিশ সুপার, চারজন মেডিকেল অফিসার, ৭১ পরিদর্শক, ২৪৭ উপপরিদর্শক, ২৫৮ সহকারী উপপরিদর্শক, ১৫শ’র বেশি কনস্টেবলসহ মোট ২ হাজার ২৬০জন জনবল নিয়ে কাজ করবে নতুন পার্বত্য পুলিশ ইউনিট।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদর দফতরের ডিআইজি (অপারেশন্স) মাহবুব আলম বলেন, প্রশাসনিক অনুমোদন হয়েছে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। নতুন ব্যাটালিয়ন সৃজন না করা পর্যন্ত বিদ্যমান যে জনবল আছে তার সাথে কিছু জনবল পূরণ করে আমাদের সেই ব্যাটালিয়নের কিছুটা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয় করে তাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।

প্রস্তাবটি এখন কোন পর্যায়ে আছে এবং কী কী প্রক্রিয়া বাকি; সে প্রসঙ্গে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম এলাকায় কাজ করতে দরকার হয় বিশেষ প্রশিক্ষণ। স্থানীয় অপরাধের পাশাপাশি পাহাড়ে সন্ত্রাসী সংগঠনের তৎপরতা, মাদক ও চোরাচালান ঠেকাতে কাজ করবে মাউন্টেন পুলিশ। এই ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পও করা হবে পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

বান্দরবান আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি ও অধিনায়ক আলী আহমদ খান বলেন, বিভিন্ন অপরাধীদের ধরার জন্য মাদক, চোরাচালান বা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য যেকোনো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ইস্যুতে যে সমস্ত গোয়েন্দা তথ্য দরকার তার জন্য আমাদের ইন্টেলিজেন্স টিম রয়েছে। আমরা সাইবার ইউনিট গঠন করেছি। যেসব দুর্গম এলাকায় জেলা পুলিশ যেতে পারে না, সে সব অঞ্চলে আমাদের অপারেশন চলছে।

মাউন্টেন পুলিশ ব্যাটালিয়নের কার্যক্রম শুরুর আগে এতে নিয়োগ দেয়া পুলিশ সদস্যদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ শুরু হবে। বিশেষ করে, পাহাড়ে প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নেয়ার প্রশিক্ষণ। তিন জেলা মিলে গঠিত এই ইউনিটের সদর দফতর হবে রাঙামাটিতে।