• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

অচলাবস্থা নিরসনে নতুন উদ্যোগ

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২১  

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করে এই দিন। প্রেসিডেন্ট ভবনের কেবিনেট কক্ষে সকাল ৯টায় আলোচনা শুরু হয়। আলোচনা তিন দিন স্থায়ী হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিশেষ দূত পিএন হাকসার আলোচনায় ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র ও দেশরক্ষা দফতরের মন্ত্রী আজিজ আহমদ পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

ভারতীয় প্রতিনিধি দলের মনোভাব হচ্ছে, ভারত-বাংলাদেশ যৌথ ঘোষণার ভিত্তিতেই আলোচনা হতে হবে। যৌথ ঘোষণার ত্রিমুখী আদান প্রদানের বিষয়ে উল্লেখ আছে। সকালে উদ্বোধনী অধিবেশনে উভয় প্রতিনিধিদল সিমলা চুক্তি সম্পাদনের পরবর্তী সময়ে উপমহাদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। উপমহাদেশের অচলাবস্থা নিরসনের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক মহল এ আলোচনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করছেন। সকালের বৈঠকের পর কোনও পক্ষই মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিল। ভারতীয় পক্ষ ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে আলোচনা শেষ করতে ইচ্ছুক। কেননা, উক্ত তারিখে বঙ্গবন্ধু বিদেশ সফরে যাবেন। তারা আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করতে ইচ্ছুক। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আলোচনায় জনাব আজিজ আহমেদ ছাড়াও অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সেক্রেটারি এ এ শেখ ও পররাষ্ট্র দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল আবদুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।

২৬ জুলাই বঙ্গবন্ধুর বিদেশযাত্রা

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ জুলাই থেকে শান্তির সন্ধানে ছয় দিনব্যাপী যুগোস্লাভিয়া সফর শুরু করবেন। যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো ও তাদের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বঙ্গবন্ধু এই সফরে যাচ্ছেন। অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন ও তার স্ত্রী, পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি কমিশনার নুরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী। মার্শাল টিটো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হবেন। সেই সময় তিনি অবসর বিনোদনে ছিলেন। একাধিক কারণে এ নেতৃদ্বয়ের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আলোচনার তাৎপর্য রয়েছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যুগোস্লাভিয়া সরকার ও জনগণ নিঃস্বার্থ সমর্থন দান করেছিল।

২৫ জুলাই, ১৯৭৩ সালের পত্রিকা

২৫ জুলাই, ১৯৭৩ সালের পত্রিকা কারফিউ দিয়ে তল্লাশির দ্বিতীয় দিন

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কারফিউ দিয়ে তল্লাশি অভিযানের দ্বিতীয় দিন ঢাকায় সুষ্ঠুভাবে অতিবাহিত হয়। দ্বিতীয় দিনে মোহাম্মদপুর এলাকায় অপর একটি অংশে কারফিউ ছিল। উল্লেখ্য যে, ভুয়া রেশন কার্ড উদ্ধারকল্পে নতুন রেশন কার্ড বিলি, অননুমোদিত ও অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ চিহ্নিতকরণ এবং বকেয়া আদায়কৃত বাড়ি উদ্ধারের জন্য একদিন আগে এই অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নতুন রেশন কার্ড কতগুলো দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে মোহাম্মদপুর থেকে শ্যামলীর কিছু অংশে পর্যন্ত বিলি করা হয়েছে।

আটক বাঙালি উদ্ধারে জনমত গড়ে তুলুন

যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করতে হয় সবাইকে করুন, কিন্তু কেবল ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা চলবে না। এই দিন পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের মুক্তি প্রসঙ্গে বাঙালি উদ্ধার সমিতি কর্তৃক আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সিরাজুল হুদা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের বিষয়টি জটিল করে তোলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অবহেলা না করে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য সরকারের সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত এবং বহির্বিশ্বে প্রতিনিধি পাঠিয়ে যুদ্ধকালীন সময়ের মতো ব্যাপক প্রচার চালানো দরকার।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকা একটি বৃহৎ শক্তি। এই শক্তির সঙ্গে সরকারের এ ব্যাপারে আলোচনা করা প্রয়োজন। তিনি বিশ্বজনমত সৃষ্টির ব্যাপারে সরকারের সমালোচনা করে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বহির্বিশ্বে প্রতিনিধি পাঠানোর আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর করা হয়নি।

২৫ জুলাই, ১৯৭৩ সালের পত্রিকা

২৫ জুলাই, ১৯৭৩ সালের পত্রিকা জনসংখ্যার বৃদ্ধি রোধ না করলে উন্নয়ন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে

বিশেষজ্ঞদের মতে কৃষিভিত্তিক উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্থান প্রথম। সে সময় আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শতকরা ৩ দশমিক ৩। অর্থাৎ প্রতিবছর ৩০ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করছে। এই বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আগামী ২৩ বছরের মধ্যে এ দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হবে। বলাবাহুল্য, এই বর্ধিত লোকসংখ্যার বাসস্থান, অন্ন-বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের সংস্থান করা শুধু কষ্টকরই হবে না, সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়া বিচিত্র না। হোটেল পূর্বাণীতে আয়োজিত জনসংখ্যা পরিকল্পনা বিষয়ক জাতীয় ব্যবস্থাপনার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির ভাষণদানকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দফতরের মন্ত্রী আব্দুল মান্নান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জনসংখ্যা কেবল বাংলাদেশের না, এটা সমগ্র বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এর সমাধান আঞ্চলিক ভিত্তিতে নয়, আন্তর্জাতিক ভিত্তিতে অগ্রাধিকার মানদণ্ডে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করতে হবে।