• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বঙ্গবন্ধু প্লান্টে মিটবে সুপেয় পানির সঙ্কট

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২০  

 


বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট রোববার (২৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় রূপসার সামন্তসেনায় ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৪ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে এ প্লান্টটি।
এ ট্রিটমেন্ট প্লান্টে ৩৩ কিলোমিটার দূরে মোল্লাহাটের মধুমতি নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে অপরিশোধিত পানি এনে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি লিটার পরিশোধন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এ পানি ৩টি ক্লিয়ার ওয়াটার পাম্পের মাধ্যমে মেইন ট্রান্সমিশন লাইন হয়ে রূপসা নদীর তলদেশ দিয়ে খুলনা শহরে ৭টি ডিস্ট্রিবিউশন রিজার্ভার ও ১০টি অভার হেড ট্যাংকে প্রবেশ করছে। যার সুফল পাচ্ছেন ৪০ হাজার গ্রাহক।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করেই এ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পানির চাপও পর্যাপ্ত রয়েছে। ফলে ২/৩ তলায় ট্যাংকিতে উঠানোর জন্য বিদ্যুৎ খরচের প্রয়োজন হচ্ছে না।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, খুলনা পানি সরবারহ প্রকল্পটি ২০১১ সালের ২৭ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন মেলে। যার বাস্তবায়ন কাজ এরমধ্যে শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৩৩ কিলোমিটার দূরে মোল্লাহাট মধুমতি নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে অপরিশোধিত পানি রূপসার সামন্তসেনায় নির্মিত বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পরিশোধন করা হচ্ছে। সামন্তসেনায় ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৪ একর জমির ওপর এ প্লান্টটি নির্মিত হয়েছে। যেখানে দৈনিক গড়ে ১১ কোটি লিটার পানি পরিশোধন হচ্ছে।
প্রথমে এ প্লান্টে পানি প্রবেশের পর তা ফ্লকুলেশন চেম্বারে ক্যামিকেলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় হালকা ময়লা দূরীভূত হয়। দ্বিতীয় ধাপে সেডিমেন্টেশন ট্যাংকে যাওয়ার পর ভারী ময়লা নিচের দিকে তলানি হিসেবে জমা হয়। পরবর্তী ধাপে ফিল্টারের মাধ্যমে পানি সম্পূর্ণরূপে পরিশোধিত হয়। পরিশোধনের জন্য কেমিক্যাল হিসেবে পলি এ্যালুমিনিয়াম কেলারাইড এবং জীবানুমুক্ত করার জন্য কেলারিন ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাশেই একটি আধুনিক ওয়াটার টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। ওই ল্যাবরেটরিতে প্রতিদিন পানির মান নিয়ন্ত্রণ করে হচ্ছে। ৩টি ক্লিয়ার ওয়াটার পাম্পের মাধ্যমে পরিশোধিত এ পানি মেইন ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে রূপসা নদীর তলদেশ দিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে পাইপ লাইনস্থাপন করে শহরের ৭টি ডিস্ট্রিবিউশন রিজার্ভার ও ১০টি ওভার হেড ট্যাংকে আনা হচ্ছে।
স্থানগুলো হচ্ছে চরেরহাট, লবণচরা, নতুন বাজার, ছোট বয়রা, রায়ের মহল, বয়রা হাউজিং এবং দেয়ানা। বাকি ৩টি ওভারহেড ট্যাংক হচ্ছে বানিয়াখামার, মিরেরডাঙ্গা ও দৌলতপুরের পাবলা। এসব ডিস্ট্রিবিউশন রিজার্ভার ও ওভার হেড ট্যাংকে পানি সরবারহে ৩শ’ মি.মি. থেকে ১২শ’ মি.মি. ব্যাসের ৩৩ কি.মি. ডাকটাইল আয়রণ পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ‘ডিস্ট্রিবিউশন পাইপ নেটওয়ার্ক’র মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাসের প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে প্রায় ৪০ হাজার বাসগৃহে সুপেয় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচলক মো. আব্দুল্লাহ পিইঞ্জ বলেন, খুলনা শহরের সুপেয় পানির সঙ্কট দীর্ঘদিনের। এ সঙ্কট নিরসনের লক্ষে এই অঞ্চলের ‘সবচেয়ে বড়’ এই প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হয়। এরমধ্যে এ প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। যার আওতায় রূপসার সামন্তসেনায় বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মিত হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন।
তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্পে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে সুপেয় পানি সরবারহ করা হচ্ছে। পানির চাপ পর্যাপ্ত থাকায় ২/৩ তলায় ট্যাংকিতে উঠানোর জন্য গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচের প্রয়োজন হচ্ছে না। সব সময়ই পানি পাওয়া যাচ্ছে। আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নতমানের বিতরণ পাইপ স্থাপন করে পানির অপচয়ও কমানো সম্ভব হচ্ছে। যার সুফল পাচ্ছেন ৪০ হাজার গ্রাহক।