• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আজ ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা দিবস

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৯  

আজ ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা দিবস। আলোড়ন সৃষ্টিকারী, ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা দিবস। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০৫ সালের এই দিনে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন ঝালকাঠির দুই বিচারক- সিনিয়র সহকারী জজ শহীদ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে। নৃশংস এ ঘটনায় সারাদেশের মানুষ এ হতবাক হয়ে যান।

এদিন সকাল ৯ টার দিকে সরকারি বাসা থেকে কর্মস্থলে যাবার পথে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে এই নৃশংস হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃতু হয় বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ের। আহত অবস্থায় ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবি সুইসাইড স্কোয়ার্ডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন। এরপর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হয়।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সে রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়।
 এরা হলেন- জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই, সামরিক শাখা প্রধান আতাউর রহমান সানি, উত্তরাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী আবদুল আউয়াল, দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী খালেদ সাইফুল্লাহ ও বোমা হামলাকারী ইফতেখার হাসান আল মামুন। ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর জঙ্গি আসাদুল ইসলাম আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা খুলনা কারাগারে।

এদিকে বিচারক হত্যা দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বৃন্দ। সকাল সাড়ে ৮টায় আদালত চত্বর থেকে একটি শোক র‌্যালি বের হয়ে ঘহর ঘুরে নিহত বিচারকদের স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন জেলা ও দায়রা জজ মো. শহীদুল্লাহ।
পরে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল মান্নান রসুল ও বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বৃন্দ নিহত বিচারকদের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন। সেখানে দুই বিচারকের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করা হয়। বিকেলে আদালতের শহীদ সোহেল-জগন্নাথ মিলনায়তনে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে।