• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

চরফ্যাশনে বকনা বাছুরে ১৮৫ জেলের ভাগ্য বদল

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৪  

মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময় কর্মহীন জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য বিনামূল্যে দেওয়া বকনা বাছুর পেয়ে ভোলার চরফ্যাশন ১৮৫টি জেলে পরিবার ভাগ্য বদলেছে। বাছুরগুলো দুই বছরে পরিপূর্ণ গাভীতে রূপ নিয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনোটি ইতোমধ্যে নতুন বাছুরেরও জন্ম দিয়েছে। ওই সব গাভীর দুধ আবার জেলেদের বাড়তি আয়ের উৎসে পরিণত হয়েছে।

জানা যায়, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস গভীর সমুদ্র্রে মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছেন মৎস্য সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে অধিকাংশ জেলে বেকার হয়েছে পড়ে। ফলে সরকার এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বকনা বাছুর পাওয়া এসব জেলেরা নদী ও সাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো। প্রতিবছর মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা কর্মহীন হয়ে পড়েন। এ সময় জেলেদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। অধিকাংশ জেলেদের নৌকা ও জাল থাকে না। আড়তদারের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে জাল, নৌকা কেনে নদীতে নামেন তারা। মাছ পেলে আড়তদারদের দিয়ে টাকা পরিশোধ করে। নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ ধরতে না পারলেও ঋণের টাকা দেওয়া লাগে জেলেদের। এ সময় সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়েন তারা।

অসহায় এসব জেলেদের এ সময়ে উপার্জনের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগ জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণের উদ্যোগ নেয়। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চরফ্যাশন ১৮৫টি বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।

বকনা বাছুর পেয়েছেন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নে ০৫ নং ওয়ার্ডের ওমরাবাজ গ্রামের আব্দুল হান্নান মাঝি।  বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় প্রদত্ত উক্ত বকনা হতে একটি বাছুর হয়েছে। পরিবারের সবাই উক্ত বাছুরের যত্ন নিচ্ছেন। দৈনিক ১ থেকে ১৫ লিটার দুধ দিচ্ছে সেই গাভিনটি।

আব্দুল হান্নান মাঝি স্ত্রী পিয়ারা বেগম বলেন, মৎস্য অফিস থেকে দুই বছর আগে আমাদের একটি গরুর বাছুর দেওয়া হয়। বাছুরটি লালন-পালন করে বড় করার পর এখন ওই বাছুরটি আরেকটি বাছুরের জন্ম দিয়েছে। ওই গরু থেকে এখন দুধ বিক্রি করছি। এ দুধ বিক্রির টাকায় একটি ছাগলও কিনেছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিবারে ৫ সদস্য। মৎস্য অফিস থেকে বাছুর পেয়ে এখন আমরা স্বাবলম্বী। নদীতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এখন আর আমাদের তেমন কষ্ট করতে হয় না। কারণ আমরা এই গরুর আয়ে সংসার চালাতে পারছি।

উপজেলার আবুবকরপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গী মাঝিও জানান, ঋণ নিয়ে নদীতে যেতাম। নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ ধরতে না পারলে ঋণের টাকা পরিশোধ এবং সংসার চালাতে কষ্ট হতো।
মৎস্য অফিস থেকে ২০২১ সালের জুন মাসে আমাকে একটি বকনা বাছুর দেওয়া হয়। ওই বাছুরটি বড়  হয়ে এখন আরেকটি বাছুরের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে ওই গরুটি দৈনিক ৩ কেজি করে দুধ দিচ্ছে। যা বিক্রি বাজারে বিক্রি করি। এতে করে সংসার চালাতে আর বেগ পেতে হয় না।

এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মারুফ হোসেন মিনার বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৫৭ হাজার৩১১ জন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ইলিশসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মাধ্যমে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসেবে ১৮৫ জনকে বকনা বাছুর দেওয়া হয়েছে। আমরা সব সময় বাছুরগুলোর খোঁজ-খবর নিয়েছি। যার ফলে এখন বেশির ভাগ বকনা বাছুর গাভীতে পরিণত হয়েছে। এতে করে উপজেলার বেশ কিছু জেলে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ভবিষ্যতেও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য এই কার্যক্রম অব্যহত রাখার চেষ্টা করবো।