• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বাড়ছে আলোক দূষণ, আড়ালে চলে যাচ্ছে ছায়াপথ

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৩  

দিনে দিনে বাড়ছে আলোক দূষণ। ফলে চোখের আড়ালে চলে গেছে ছায়াপথ। হারিয়ে যাচ্ছে আকাশের তারা। গবেষকরা জানান, এভাবে দূষণ চলতে থাকলে ২০ বছরের মধ্যেই রাতের আকাশে আর তারার দেখা মিলবে না। আলোক দূষণ পাল্টে দিচ্ছে মানুষসহ প্রাণীজগতের জীবনধারাও। ঘুমে ব্যাঘাতের পাশাপাশি বাড়ছে স্থুলতা ও ডায়াবেটিস। পাখি হারাচ্ছে পথ, বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কচ্ছপের প্রজনন।

জ্যোৎস্নামাখা রাতের আকাশে প্রেমিকাকে ভালোবাসার বার্তা পাঠানোর এমন সুযোগ একসময় আর থাকবে না। বিলীন হচ্ছে তারাভরা সেইসব রাত।

আধুনিক সভ্যতার অভিশাপ- তারাহীন রাতের মূলে আলোক দূষণ বা পৃথিবীর বুকে মাত্রাতিরিক্ত কৃত্রিম আলোর উপস্থিতি।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ানে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, আলো নিঃসরণকারী ডায়োড- এলইডির ব্যবহার, রাস্তা-ভবন-অফিস, বিলবোর্ডসহ বিভিন্ন স্থাপনায় অলোকসজ্জা ও সীমাহীন বাহ্যিক আলোর ব্যবহার রাতের আকাশকে উজ্জ্বল করছে।

গবেষণা বলছে, দূষণের কারণে ২০১৬ সাল থেকে পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ মানুষ খালি চোখে আকাশগঙ্গা ছায়াপথ দেখতে পাচ্ছে না। প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে উজ্জ্বল হচ্ছে রাতের আকাশ।

জার্মানির আইফেল জাতীয় পার্কে স্বাভাবিক রাতে যেখানে ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার তারা দেখা যেতো, এখন সেখানে বড়জোর ১৮শ’ তারার দেখা মেলে। গবেষকরা জানান, এভাবে দূষণ চললে একসময় সবচে উজ্জ্বল নক্ষত্রও দৃষ্টির আড়ালে চলে যাবে।

আলো দূষণে শুধু তারারাই অদৃশ্য হচ্ছে না, মানুষসহ উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। নীল আলোর এলইডি লাইটে মানুষের মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ কমে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। বাড়ে ডায়াবেটিস ও স্থুলতা।

কৃত্রিম আলোয় দিকভ্রান্ত পাখিরা। গবেষণা বলছে, আলোর প্রভাবে উত্তর আমেরিকায় প্রায় ২শ’ প্রজাতির পাখি পথ পরিবর্তন করেছে। আলোকিত সাগর তীরে বাধাগ্রস্ত হয় কচ্ছপের প্রজনন।

এ অবস্থায় আলো দূষণ কমাতে কমিটি তৈরি করে অপ্রয়োজনীয় আলোর ব্যবহার কমানো, স্মার্ট আলোর ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন গবেষকরা।