• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

বিদ্যুৎখাতে অপচয় কমেছে ৭ শতাংশ, বেড়েছে উৎপাদন

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২৩  

গত ১৪ বছরে বিদ্যুৎখাতে সিস্টেম লস বা অপচয় কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ। ব্যাপকভাবে বেড়েছে উৎপাদন ক্ষমতা। এ সময়ে দেশে নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে ১২৫টি। বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে দেশের শতাভাগ মানুষ। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বিতরণ ব্যবস্থায়, বসেছে প্রি-পেইড মিটারও।

গত প্রায় দেড় যুগে বদলে গেছে দেশের বিদ্যুৎখাত। লোডশেডিংয়ের সেই অন্ধকার দিনগুলো পেড়িয়ে দেশের শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। শহর, গ্রাম, পাহাড় কিংবা চরাঞ্চল, বিদ্যুৎ সবখানে।  

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য বলছে, সব মিলে দেশে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা এখন উন্নীত হয়েছে ৪ কোটি ৫৮ লাখে। ২০০৯ সালে ছিল ১ কোটি ৫৮ লাখ। অর্থাৎ গত প্রায় ১৪ বছরে গ্রাহক বেড়েছে ৩ কোটি ৫০ লাখ। ৎ

পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, “যেখানে একটা বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়তে অতীতে ১২ বছরও লেগেছে, সেখানে সাড়ে ৩ তিন মাসে প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্র আনা হয়। এই ধারাবাহিকতায় যেখানে উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৫ হাজার মেগাওয়াটেরও কম সেখানে সেটা আজকে ২৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি।”

আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকের মতো সেচ গ্রাহকও বেড়েছে অনেক। ২০০৯ সালে দেশে সেচ গ্রাহক ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার। ২০২৩ সালে এটি দ্বিগুনেরও বেশি বেড়ে ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার।

এদিকে, বিদ্যুৎখাতে সিস্টেম লস বা অপচয় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে গত দেড় দশকে। ২০০৯ সালে সিস্টেম লস ছিল ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা এখন ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, “এটা সবার কাছে মিরাকেল। বিশেষ করে যেখানে ১০৮ বছরে ৫ হাজার মেগাওয়াট বাকী ১৩ বছরে ২০ হাজার মেগাওয়াট। সেটা কল্পনারই বাইরে।”

পিডিবি, আরইবি, ডিপিডিসি, ডেসকো-সহ ৬টি বিতরণকারী কোম্পানি নিজস্ব গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনছে। গত জুন পর্যন্ত এসব সংস্থা ৫৮ লাখ ৬১ হাজার ৫২৪ গ্রাহককে প্রি- পেইড মিটার দিয়েছে।

এদিকে, গত দেড় দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ। ২০০৯ সালে দেশের বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। যা এখন উন্নীত হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াটে।

পাওয়ার সেল মহাপরিচালক বলেন, “বিদ্যুৎখাতে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছি সেটা সারাবিশ্বের মানুষ প্রশংসা করেছে। এখন আমরা কাজ করছি, মানসম্মত ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিয়ে।”

গ্যাস, তেল, কয়লা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ সব মিলে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২০০৯ সালের চেয়ে বেড়েছে প্রায় ২৪ হাজার মেগাওয়াট।