• শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২০ ১৪৩০

  • || ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৪

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট বাজেট পেশ আজ অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে মহামারি সৃষ্টি করছে তামাক: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সুইডেনের বড় বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী মুসলমানরা কেন পিছিয়ে পড়ল তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন এবারের বাজেট ৭ লাখ কোটি টাকা: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ সংঘাত নয়, আলোচনায় সমাধান চাই: প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও চীনের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে আরো জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে আমরা আর অশান্তি-সংঘাত চাই না, সবার উন্নতি চাই: শেখ হাসিনা শিল্পাচার্য জয়নুলের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল কাজে অনুপ্রেরণা যোগাবে: রাষ্ট্রপতি এশিয়ার ‘আয়রন লেডি’ শেখ হাসিনা : দ্য ইকোনমিস্ট আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: প্রধানমন্ত্রী

কমিউনিটি ক্লিনিকের বৈশ্বিক স্বীকৃতিতে খুশি প্রধানমন্ত্রী

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৩  

বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও জানতাম না যে প্রস্তাবটি (কমিউনিটি ক্লিনিকের বিষয়ে) কখন জাতিসংঘে উত্থাপিত হয়েছিল। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার পর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আমাকে অবহিত করেছিলেন।’

স্বাস্থ্যসেবা সারা দেশের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) মন্ত্রিসভা কক্ষে মন্ত্রিপরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে সভাপতিত্বকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

18-05-23-PM_Cabinet Meeting-1

মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমন মানবিক উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৭০টি দেশকে ধন্যবাদ জানাতে বলেন, যারা প্রস্তাবটি কো-স্পন্সর করেছে এবং জাতিসংঘের সবকটি সদস্য দেশ সর্বসম্মতভাবে এটিকে সমর্থন করেছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে এবং সাধারণ মানুষ সেখানে চিকিৎসা নিতে আসছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে কেন্দ্র করে বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার অভিজ্ঞতা সেসব দেশে ভাগ করে নিতে চায়, যারা এখনও তাদের দেশে তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তারা সীমিত সম্পদ নিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সরকার ১১ হাজার বাড়ি তৈরি করেছে এবং ৪ হাজার বাড়িতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছে। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু করার ফলাফল সম্পর্কে জানার জন্য তারা এক বছর পর একটি জরিপ পরিচালনা করে এবং এর সাফল্যের হার ৭০ শতাংশের বেশি পাওয়া গেছে। ইতিবাচক ফলাফল দেখে তিনি বলেন, ওই সময়ে সরকার এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ১১ হাজার বাড়িতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু তাঁর সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা তা করতে ব্যর্থ হন। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়। কারণ তারা মনে করেছিল সেখান থেকে চিকিৎসা নেওয়া জনগণ নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াত সমর্থকসহ সব মানুষ ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা সেবা নিলেও বিএনপি-জামাত জোট কেন কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল সে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর যে তারা ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছেন, যাতে এটি আর কেউ বন্ধ করতে না পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোগ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি ১০ শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এজন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানান। কারণ, তারা ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে বারবার তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্রেনেড, বোমা ও বুলেট হামলার পরও আমি বেঁচে আছি বলে আল্লাহর কাছে আমার সব কৃতজ্ঞতা। আমি এখনও দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাতিসংঘে (ইউএন) বাংলাদেশে কমিউনিটি ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা: সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’ শিরোনামের প্রস্তাবটি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা উদ্ভাবনী সেবা উদ্যোগ গড়ে তুলেছেন এবং সেই উদ্যোগের আওতায় জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত রেজুলেশনে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল উদ্ভাবনী উদ্যোগকে ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি দেয় এবং এই উদ্যোগটিকে ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’ নামে অভিহিত করে। সূত্র: বাসস।