• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য-রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশেও আজ ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস- ২০২৩' পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘The Future of Weather, Climate and Water Across Generations’ প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৪ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব এবং ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, খরাসহ অন্যান্য চরম আবহাওয়ায় আগাম সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে ।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ সালে সংঘটিত স্মরণকালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ দুর্যোগের বিষয়ে আগাম কোনো সতর্কতাই দেয়নি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। স্বাধীনতার পরপরই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কবার্তা প্রদানের লক্ষ্যে কক্সবাজার ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় দুটি রাডার স্থাপন করেন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)' গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় সেই সময় ১৭২টি উঁচু মাটির কিল্লা তৈরি করেন, যা ‘মুজিব কিল্লা' নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনকে প্রাধান্য দিয়ে ১০০ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির কারণে বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট দুর্যোগও বাড়ছে। দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা ও দৈনন্দিন আবহাওয়া বার্তা জানতে মোবাইলে ‘১০৯০’ নম্বরে টোল ফ্রি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। আমাদের সরকার কৃষি-আবহাওয়া পূর্বাভাস ও পরামর্শ সেবার মান উন্নয়নে সাতটি নতুন কৃষি-আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার স্থাপনসহ কৃষি-আবহাওয়া বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, পাঁচটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার, নয়টি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এবং ১৪টি নদীবন্দরে নৌ-দুর্ঘটনা প্রশমনের লক্ষ্যে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া স্থাপন করা হয়েছে তিনটি স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন। দুটি আধুনিক ডপলার রাডার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। দেশের ১৩টি উপকূলীয় জেলায় স্যাটেলাইট টেলিফোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গৃহীত এসব পদক্ষেপ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে ।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে রোল মডেল। বিজ্ঞানভিত্তিক আবহাওয়া ও জলবায়ুর উন্নততর পূর্বাভাস প্রদানের মাধ্যমে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নে ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবা প্রকল্প (কম্পোনেন্ট-এ)’ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আবহাওয়া পরিসেবার মান বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা-ই আসুক না কেন তা মোকাবিলার জন্য আমি সবাইকে সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, এ দিবস পালনের মাধ্যমে দেশবাসীর মাঝে আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির গুরুত্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা গড়ে উঠবে এবং আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য জন-সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। আমি ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।