• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৬ মে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩  

বরিশাল প্রতিনিধিঃ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৬ মে বরিশাল সিটি ভোটের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপরই আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা। আর মাত্র ১দিন পরেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এর মধ্যেই প্রার্থীদের মনোনয়ন ও তাদের হলফনামা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।

বিশেষ করে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের যোগ্যতার মাপকাঠি জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ভোটাররা।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ প্রার্থী, ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৬ ও ১০ সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ প্রার্থী মনোনয় জমা দেয়।

মোট ১৮ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল এবং শুরুতেই একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১৭৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারন কাউন্সিলর পদে ১৩৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪০ জন রয়েছেন। তবে ২৫ মে পর্যন্ত প্রত্যাহারের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সংখ্যা কমবে।

তবে ৩০টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে বৈধ ১৩৩ জনের হলফনামা ঘেটে ৭৩ শতাংশের কিছুটা বেশি প্রার্থী বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন।

যারমধ্যে নির্মাণ সামগ্রী, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, কাঁচামাল, জমি-জমা বিক্রি, ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারীর মতো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িতরা রয়েছেন। তবে তুলনামূলক ঠিকাদারের সংখ্যাই বেশি।

হলফনামার হিসেব বলছে, ১৩৩ জনের মধ্যে ৯৮ জন প্রার্থী রয়েছেন বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জাড়িত। এছাড়া পেশায় ৫ জন আইনজীবী, ৪ জন বেসরকারি চাকুরীজীবি, ৪ জন শিক্ষক, ৪ জন কৃষি ও মৎস খামারি, ৩ জন কৃষিজীবী, ৩ জন বাড়ি ও দোকানঘর মালিক, ৩ জন কাউন্সিলর, ১ জন সাংবাদিক, ১ জন গৃহিণী, ১ জন খামারী, ১ জন দলিল লেখক, ১ জন প্রবাসী, ১ জন ইলেকট্রিশিয়ান, ১ জন রাজনীতিবিদ, ১ জন ইমারত শ্রমিক রয়েছেন।

আর একজন হলফনামায় তার তথ্যে পেশার স্থলে প্রযোজ্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন।

আর এসব প্রার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ ১ জন প্রার্থী ৩ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয়ের কথা বলেছেন, এছাড়া ১১২ জন এক লাখ টাকা, ১৬ জন লাখ টাকার নিচে এবং ৪ জন লাখ টাকার কিছুটা ওপরে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করেছেন। যে হিসেবে ৮৪ শতাংশ প্রার্থী লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় ধরেছেন।

অপরদিকে শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে সবথেকে বেশি এইচএসসি পাশ রয়েছেন  ৩৪ জন প্রার্থী। এছাড়া ২৪ জন প্রার্থী এসএসসি ও ২ জন দাখিল পাশ, স্নাতক সম্পন্ন করেছেন ২১ জন, স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী রয়েছেন ১৬ জন। এর বাইরে বিএ ও এমএ- এলএলবি সম্পন্ন করেছেন ৯ জন প্রার্থী।

এরবাহিরে এসএসসি অকৃতকার্য রয়েছেন ১ জন প্রার্থী, অষ্টম শ্রেণী পাস রয়েছেন ১৬ জন প্রার্থী, পঞ্চম শ্রেণী পাস রয়েছেন ১ জন এবং স্ব-শিক্ষিত রয়েছেন ৮ জন প্রার্থী। এখানেও ০১ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য হলফনামায় পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে হলফনামার তথ্যানুযায়ী ১৩৩ জন বৈধ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২৯ জনের বিরুদ্ধে ৪৭ টি ফৌজদারী মামলা বর্তমানে রয়েছেন এবং ৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৫ টি মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।

এসব প্রার্থীসহ মোট ৫৫ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ৯৯ টি মামলা দায়ের হয়েছিল। যেগুলো নিষ্পত্তি বা খালাস হয়ে গেছে।

এছাড়া অতীতে একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২টি সাধারণ ডায়েরিও ছিল বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

এদিকে সাধারণের পাশাপাশি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ টি আসনে ৪০ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বীর মাঠে টিকে রয়েছেন। যেখানে ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩০ জন প্রার্থীই রয়েছেন পেশায় গৃহিণী।

তবে এরপাশেই কেউ কেউ নিজেকে সমাজসেবক, প্রাইভেট শিক্ষক ও হস্তশিল্পী বলেও উল্লেখ করেছেন। এর বাইরে ৭ জন ব্যবসায়ী, ২ জন হাঁস ও মুরগী পালনকারী, ১ জন চাকুরীজীবী রয়েছেন।  মোট ৪০ জন প্রার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করেছেন ৪ লাখ ১ জন, এরপর সাড়ে ৩ লাখ ১ জন, ২ লাখ ৬ জন, ১ লাখ ২২ জন, ১ লাখের ওপরে ৮ জন ও ১ লাখের নীচে ২ জন নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করেছেন।

এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে সর্বোচ্চ ১১ জন অষ্টম শ্রেণী পাস, এরপর ৯ জন স্নাতক সম্পন্ন করেছেন, ৬ জন এসএসসি পাশ, ৪ জন স্ব-শিক্ষিত, ৩জন এমএ ও বিএ এলএলবি, ২ জন এইচএসসি পাস, ১ জন এসএসসি অকৃতকার্য, ১ জনের এসএসসি চলমান, একজন দশম শ্রেণী পাস, ১ জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ও ১ জন পঞ্চম শ্রেণী পাস রয়েছেন।

সংরক্ষিত কাউন্সিলর আসনের প্রার্থীদের মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারী দুটি মামলা চলমান রয়েছে এছাড়া ১০ টি মামলায় নিষ্পত্তি বা খালাস পেয়েছেন ৬ প্রার্থী।