• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মায়ের সঙ্গে জেল থেকে মুক্তি যমজ দুই সন্তান-পাশে দাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২  

বরিশাল প্রতিনিধি: চেক জালিয়াতি মামলায় এক বছর কারাভোগের পর যমজ সন্তান নিয়ে মুক্ত হয়েছেন বরিশালের টুম্পা বাড়ৈ। সে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন, কারাগারে থাকাকালীন সময় তিনি জমজ সন্তান প্রসব করেন। দুই সন্তান সাগর ও সাগরিকা তার সাথে কারাগারেই ছিলেন একবছর।

বুধবার, ২৯ জুন মুক্ত হওয়ার পর অপরাধ সংশোধন এবং পুনর্বাসন সমিতির পক্ষ থেকে এই দুই শিশুর জন্য আর্থিক সহায়তা এবং তাদের মা টুম্পা বাড়ৈকে একটি সেলাই মেশিন দেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। টুম্পা বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের হৃদয় পান্ডের স্ত্রী।

বরিশাল সমাজসেবা অধিদপ্তরের জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ জানান, পাঁচ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির মামলায় ২০২১ সালের ৩০ জুন কারাগারে যান টুম্পা। পরে প্রমাণিত হয় ওই চেকটিতে বাদী ষড়যন্ত্র করে টুম্পার কাছ থেকে স্বাক্ষরটি আদায় করে। বিষয়টি আদালত শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেন।

তিনি জানান, কারাগারে থাকা অবস্থায় টুম্পা যমজ শিশুর জন্ম দেন। ছেলের নাম রাখা হয় সাগর এবং মেয়ের নাম সাগরিকা। বর্তমানে তাদের বয়স ১১ মাস। মায়ের সঙ্গে তারাও কারাগারে ছিল। ওই সময় টুম্পা সেলাই মেশিনের কাজ শেখেন। তিনি এখন ভালোভাবে মেয়েদের পোশাক বানাতে পারেন। তার মুক্তির খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার যমজ শিশুদের জন্য আর্থিক সহায়তা এবং তার জন্য সেলাই মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়। মুক্ত হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে টুম্পাকে এসব সহায়তা দেওয়া হয়।

এ সময় তার স্বামী হৃদয় পান্ডেও উপস্থিত ছিলেন। বাড়ি গিয়ে সেলাই মেশিনে কাপড় সেলাই করবেন টুম্পা, আর তার স্বামী তাকে সহায়তা করবেন। বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, অপরাধ সংশোধন এবং পুনর্বাসন সমিতির মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতি ও কয়েদিদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যাতে করে তারা মুক্ত হয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে। এভাবে বহু হাজতি ও কয়েদি বর্তমানে অপরাধ থেকে সরে ভালোভাবে জীবনযাপন করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় টুম্পাকেও আর্থিক সহায়তাসহ একটি সেলাই মেশিন দেয়া হলো।