• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

১৫ মিনিট ঝুলে ছিল মাজেদের দেহ

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২০  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। শনিবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিটে (১২ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে ফাঁসির মঞ্চে ঝোলানো হয়।

এরপর ১৫ মিনিট ধরে তার দেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পরে সেখান থেকে নামিয়ে উপস্থিত চিকিৎসক দিয়ে নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, রাত ঠিক ১২টা ১ মিনিটে মাজেদকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। এরপর ১৫ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয় তার দেহ। পরে সেখান থেকে নামিয়ে উপস্থিত চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এবং তখনই মৃত ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করতে যেসব কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন, তারা সবাই করোনা ভাইরাসের কারণে গ্লাভস, মাস্ক এবং চশমা পরেছিলেন বলে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, ফাঁসির মঞ্চের পাশে থাকা কর্মকর্তাদের হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক এবং চোখে চশমা পরা ছিল করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে। এমনকি জল্লাদের ক্ষেত্রেও ছিল এ ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস প্রোটেকশন হিসেবে আমরা সবাই এখানে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও চোখে চশমা পরা অবস্থায় ছিলাম। প্রোটেকশন নিয়েই খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

রাত ১২টার পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা রায় কার্যকর করতে পেরেছি।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ফটকে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। একইসঙ্গে কারারক্ষীরাও দায়িত্ব পালন করেন নিজেদের।

এর আগে রাত ১০টা ৫২ মিনিটে কারাগারে গিয়ে পৌঁছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা। এরও আগে রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢাকার সিভিল সার্জন পৌঁছেন কারাগারে। এরপর ১০টা ৪৭ মিনিটে পৌঁছেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিগত দুই দশক ধরে পা‌লি‌য়ে ভার‌ত ছিলেন আব্দুল মাজেদ। গত মা‌র্চের মাঝামা‌ঝি‌ সময়ে তি‌নি ঢাকায় আসেন। পরে গত ৬ এপ্রিল দিনগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদ‌স‌্যরা।

এর আগে ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আব্দুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।

রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা। মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে পলাতক আসামি আছেন পাঁচজন। তারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচ এমবি নূর চৌধুরী, এএম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন।