• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

হজের দিন রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২০  

আগামী ৩০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) আরাফাতের ময়দানে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ দিনের রোজা পালন সম্পর্কে হাদিসে অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আবার এ দিনের আমলের মর্যাদার কথাও বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। যা মুমিন মুসলমানের জন্য খুবই জরুরি। হাদিসের আলোকে আরাফার দিনের ফজিলত ও মর্যাদা হলো-
- হজরত আবু কাতাদার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরাফার (হজের দিনের) রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আরাফার দিনের (হজের দিনের) রোজা পেছনে এক বছর এবং সামনের এক বছরের গোনাহের কাফফারা হবে। আর তাকে আশুরার রোজার কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বিগত এক বছরের গোনাহের কাফফারা হবে।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)

- হজরত কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আরাফাহ তথা হজের দিনের রোজা। আমি আল্লাহর কাছে আশা রাখি যে তিনি পেছনের এক বছরের গোনাহ এবং সামনের এক বছরের গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।' (মুসলিম)

- হজরত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আরাফার দিন রোজা রাখে তার একাধারে দুই বছরের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ (আবু ইয়ালা, আত-তারগিব)

উল্লেখিত হাদিসের আলোকে এ কথা সুস্পষ্ট যে, হজের দিনের তথা আরাফার দিনের রোজা পালনের গুরুত্ব ও মর্যাদা কত বেশি। হজের দিন এমন একটি দিন, যে দিন আল্লাহ তাআলা বান্দার খুব কাছাকাছি হয়ে যান। বান্দার চাহিদা সম্পর্কে ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন? আর সবচেয়ে বেশি বান্দাকে ক্ষমা করেন। হাদিসে এসেছে-
- হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বছরের মধ্যে এমন কোনো দিন নেই যে, আল্লাহ তাআলা আরাফার দিন অপেক্ষা অধিক সংখ্যায় তার বান্দাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন। আর আরাফার দিন আল্লাহ তাআলা বান্দার অধিক কাছাকাছি থাকেন। অতপর ফেরেশতাদের কাছে গৌরব প্রকাশ করে জানতে চান- আমার এ বান্দাগণ কী চায়? (মুসলিম)

হজের দিন বা আরাফাতের দিন রোজা পালন, ইবাদত-বন্দেগি করা মুমিন মুসলমানের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ দিনে আল্লাহর মেহমানরা আরাফাতের ময়দানে মহান আল্লাহর কাছে গোনাহ মাফ ও নানান আবেদন নিয়ে রোনাজারি করে থাকেন। মহান আল্লাহ এ দিনটিতে আবেদনকারীর সব আবেদন পূরণ করে নেন এবং তাদের ক্ষমা করে দেন।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, হজের মাসের অন্যতম দিন হজের দিন রোজা পালন করা। এ বছর হজ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জিলহজ তথা বৃহস্পতিবার। তাই এ দিন রোজা পালন করে পেছনের ও সামনে এক বছরের গোনাহ মাফসহ নিজেদের সারা জীবনের গোনাহ থেকে মুক্তির আশায় রোজা পালন করা জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আরাফার দিন রোজা রাখার পাশাপাশি ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। আরাফার দিনের আগের ও পরের বছরের গোনাহ থেকে নাজাত লাভের তাওফিক দান করুন। সর্বোচ্চ প্রতিদান জান্নাত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।