• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে নেপাল বাংলাদেশের সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সফররত নেপালের পররাষ্ট্রমস্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

টিপু মুনশি বলেন, নেপালের বিরাগনগর থেকে সৈয়দপুরের বিমানবন্দরের ফ্লাইং টাইম প্রায় ২৫ মিনিট। এ বিমানবন্দর তারা ব্যবহার করতে পারলে যোগাযোগ সহজ হবে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর নেপাল কবে নাগাদ ব্যবহার করতে পারবে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা উনাদের চাহিদা। আমি আজকে উনাদের বললাম- আমি এ বিষয়ে ইমিডিয়েটলি সিভিল অ্যাভিয়েশন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো। আজকে প্রস্তাবের পর মনে হয়েছে এটা আমাদের ও উনাদের জন্য ভালোই হবে। 

‘প্রতিদিন এখন মোট দশটা ফ্লাইট সৈয়দপুর যাচ্ছে। উনারা যদি একটা-‍দুইটা ফ্লাইট শুরু করে তাহলে যোগযোগটা বাড়বে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নেপাল বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। নেপালের সঙ্গে প্রিফেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টের (পিটিএ) স্বাক্ষরের জন্য কাজ চলছে। আমরা উভয় দেশ স্বাক্ষরের জন্য একমত হয়েছি। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। আগামী ৩ ও ৪ মার্চ ঢাকায় বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পিটিএ স্বাক্ষর ও উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

বাংলাদেশ নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, উভয় দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য সড়ক, নৌ এবং আকাশ পথ চালু করার বিষয়ে কাজ চলছে।

‘বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর ব্যবহারেরও সুযোগ রয়েছে নেপালের। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ নেপালে ৩৮.০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১৮.১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ এখন পাটজাত পণ্য, ব্যাটারি, তৈরি পোশাক, টয়লেটরিজ পণ্য, ঔষধসহ বেশ কিছু পণ্য নেপালে রপ্তানি করছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব।

টিপু মুনশি বলেন, নেপালের সঙ্গে বাণিজ্যে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবহার করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে।

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নেপাল বাংলাদেশকে খুবই গুরুত্ব দেয়। উভয় দেশের মানুষ ও জীবনযাত্রার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, নেপাল তারপরই অবস্থান করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং পর্যটক বিনিময়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। 

‘আমরা উভয় দেশ এ সুযোগ ও সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চাই। নেপাল ভারতের সহযোগিতায় হাইড্রো পাওয়ার উৎপাদন করছে, যা বাংলাদেশে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করেছে, এজন্য নেপাল বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া, নেপাল (বিবিআইএন) প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট সব দেশ এবং দেশের মানুষ উপকৃত হবেন।’

বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের বাণিজ্য বৃদ্ধির টেকনিক্যাল বিষয়গুলো অধিক গুরুত্ব দিয়ে নেপাল কাজ করছে জানিয়ে নেপালি মন্ত্রী বলেন, পিটিএ স্বাক্ষরিত হলে উভয় দেশের মধ্যে নতুন অর্থনৈতিক যুগের সূচনা হবে।


নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব শংকর দাস বৈরাগী, ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বানশিধর মিশ্র, নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণারয়ের যুগ্ম সচিব ইয়াগা বাহাদুর হামাল প্রমুখ। 

আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান (সচিব) ফাতেমা ইয়াসমিনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।