• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

সুন্দরবনে পর্যটক টানতে ২৮ কোটি টাকার প্রকল্প

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২০  

দেশে পর্যটনের বিকাশে সুন্দরবনে ২৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হবে ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র। পর্যটক আকর্ষণের জন্য বাড়ানো হবে সুযোগ সুবিধা। একইসঙ্গে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে বনজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে কাজ করা হবে। ‘সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন বা ইকোট্যুরিজম সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিবেশ সুরক্ষা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করা। এ জন্য সাড়ে ৬ হাজার বর্গমিটারের একটি আরসিসি ফুট ট্রেইল, একটি ইন্টারপ্রিটেশন ও ইনফরমেশন সেন্টার, সাতটি স্যুভেনির শপ নির্মাণ করা হবে। বন কর্মকর্তা, কর্মচারী, ইকো-ট্যুর অপারেটর, গাইড কো ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৬০০ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। স্থানীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিলি করা হবে লিফলেট। চলতি সময় থেকে জুন ২০২২ মেয়াদে সুন্দরবনকে ঘিরে এ বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নিতে যাচ্ছে বন অধিদপ্তর।

বন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় সাতটি ফাইবার বডি ট্রলার, তিনটি পন্টুন ও গ্যাংওয়ে, তিন কিলোমিটার আরসিসি সড়ক, ছয়টি পাবলিক টয়লেট, সাড়ে ৮ হাজার ঘনমিটার পুকুর খনন, একটি সেডশহ প্রদর্শনী ম্যাপ, ৩০টি আরসিসি বেঞ্চ নির্মাণ করা হবে। পাঁচটি গাইড ম্যাপ, ২০টি ডাস্টবিন, ১০টি পর্যটকদের জন্য পথ নির্দেশনা তৈরি করা হবে।
 
প্রকল্পটি সুন্দরবনের পশ্চিম ও সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে বাস্তবায়িত হবে। বর্তমানে সুন্দরবনে ইক্যোট্যুরিজম কেন্দ্র হিসেবে করমজল, হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলারচর, হিরণপয়েন্ট, কলাগাছিয়া রয়েছে। ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র সম্প্রসারণের জন্য সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে আন্দারমানিক  ও শরণখোলা ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগে শেখেরটেক মন্দির রয়েছে। এছাড়া সুতারখালী এলাকার কৈলাশগঞ্জ ও কলাবগী এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন চারটিসহ মোট ১১টি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটির আওতাভূক্ত। ব্যবস্থাপনা কমিটির আওতায় ৩৪ হাজার গ্রাম সংরক্ষণ দলের সদস্য রয়েছে। কমিটিকে সম্পৃক্ত করে ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে বনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো হবে।

প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘সুন্দরবনের সম্পদের ওপর চাপ কমানো ও স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। পর্যটনের বিকাশ হলে স্থানীয়রা ঝুঁকিপূর্ণ পেশা ছেড়ে দেবে। ফলে সুন্দরবনের ওপর নেতিবাচক চাপও কমবে। পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে। পর্যবেক্ষণ টাওয়ার করা হবে। প্রতিবেশ পরিবেশ ঠিক রেখে ঝুলন্ত ব্রিজসহ অন্য অবকাঠামোও গড়ে তোলা হবে।’