সিকৃবির সাফল্য, অভয়াশ্রমে রক্ষা দেশীয় মাছ
বরিশাল প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২১
দেশের বিভিন্ন হাওর-বাঁওড় থেকে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি কমে আসছে দেশীয় মাছের সংখ্যাও। তার ব্যতিক্রম নয় হাওর-বাঁওড় বেষ্টিত সিলেট অঞ্চলও। মাছের আশ্রয়স্থল, প্রজনন ও বিচরণ ক্ষেত্র প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে নষ্ট হচ্ছে। প্রজনন মৌসুমে অবাধে মাছ শিকারের ফলে অসংখ্য প্রজাতির দেশীয় মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। কিন্তু বিলুপ্ত প্রজাতির দেশীয় মাছের উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিস্তার, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)।
২০১৮ সাল থেকে সিলেটের রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ও গুরকচি নদীতে মাছ রক্ষায় সাফল্য দেখিয়েছে সিকৃবি। মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তুলে মৎস্যজীবীদের সম্পৃক্ত করায় সাফল্য এসেছে বলে মনে করছেন সংশ্নিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন, শুধু দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা নয়, মাছের সঙ্গে সংশ্নিষ্টদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে টেকসই আয়ের পথ দেখানো হচ্ছে। মাছের আয় থেকে ইতোমধ্যে সেলাই মেশিন, ছাগল ও ভেড়াসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের মধ্যে।
সূত্র মতে, সিকৃবির মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের জলজসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রক্ষায় প্রকল্প শুরু হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের আওতায় এনএটিপিফেজ-২ প্রকল্পের অর্থায়নে প্রকল্পে সহযোগিতা করছে সিকৃবি প্রশাসন, বন বিভাগ ও মৎস্য বিভাগ। প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছেন সিকৃবির মাৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. ফয়সাল আহমদ। তাদের তত্ত্বাবধানে সিলেটের সারি-গোয়াইননদী ও তৎসংলগ্ন হাওর ও বিলে দেশীয় মাছের বংশ বৃদ্ধির জন্য গবেষণা কার্যক্রম চলছে। গবেষণার অংশ হিসেবে রাতারগুল ও গুরকচি নদীতে প্রায় ৩ একর জায়গায় অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয়। গুরকচি অভয়াশ্রমে ৫০ জন ও রাতারগুলে ৩০ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে গঠন করা হয় অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা কমিটি। অভয়াশ্রম তৈরি করার ফলে চিতল, ঘোড়া, খারি, নানিদ প্রভৃতি বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ এখন সেখানে মিলছে।
প্রকল্প-সংশ্নিষ্টরা জানান, শীতকালে পানি কমে যাওয়ায় মাছগুলো আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। ফলে রাতারগুল সোয়াম্পফরেস্টের একটি বিলে ও গুরকচি নদীতে অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়েছে। অভয়াশ্রমের পাশে জাল ও বাঁশ সহকারে স্থাপিত পেনে কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদী থেকে ডিমওয়ালা মলা ও ঢেলা মাছ সংগ্রহ করার পর তাদের প্রজনন সম্পন্ন করা হয়। ফলে ভরা বর্ষায় বিভিন্ন জলাশয়ে এসব মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়া মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে উন্মুক্ত জলাশয়ে বর্ষা মৌসুমে খাঁচায় মাগুর, পাবদা, পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছ চাষ করা হচ্ছে ওই প্রকল্পের আওতায়। চাষকৃত এসব মাছ বিক্রি করে লভ্যাংশ থেকে ইতোমধ্যে মৎস্যজীবীদের টেকসই আয়ের লক্ষ্যে সেলাই মেশিন, ছাগল ও ভেড়াসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড জানান, প্রতি শুষ্ক মৌসুমে উন্মুক্ত জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় মাছের আশ্রয়স্থল দিন দিন কমে যাচ্ছে। হাওর ও বিল সেচে অবাধে মাছ শিকারের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে মলা ঢেলাসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ। পেনে এসব দেশীয় প্রজাতির মাছ লালন-পালন করায় তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে বংশবিস্তার করতে পারছে। পরবর্তীতে বর্ষায় উন্মুক্ত জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়ায় খুব সহজেই বিলুপ্ত প্রজাতির এসব মাছের বিস্তার ঘটানো সম্ভব হচ্ছে। সেসঙ্গে দেশীয় প্রজাতির অন্যান্য মাছও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রকল্পের অধীনে মাছ চাষে জড়িত রাতারগুলের আরব আলী ও গুরকচি জেলে পাড়ার অর্চনা দাস সমকালকে জানিয়েছেন, অভয়াশ্রম গড়ে তোলায় এখন আগের চেয়ে বেশি মাছ পাওয়া যায়।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর সাথে স্বাচিপ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- ৭১ বছর পর সূর্যের কাছে আসছে এই ধূমকেতু, দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও
- জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- বরিশাল প্লানেট পার্কের উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিজলায় জালের দোকান ও গোডাউনে অভিযান, কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ
- খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে টিউবওয়েলে উঠছে না পানি, চরম দুর্ভোগে মানুষ
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- বরিশালে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল সহ ৬ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য আটক
- প্রথমবারের মত ইমাম ও এতিম হাফেজদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ
- বানারীপাড়ায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
- স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার ফেসবুকে পিস্তলের ছবি দিয়ে হুমকির অভিযোগ