• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সালাতুত তাসবিহ পড়ার নিয়ম

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২০  

সবচেয়ে বেশি তাসবিহ পড়ার মাধ্যমে যে নামাজ পড়া হয়, তাই সালাতুত তাসবিহ। নামাজের বিভিন্ন রোকনে ধাপে ধাপে প্রত্যেক রাকাআতে ৭৫ বার তাসবিহ আদায় করতে হয়। এভাবে রাকআত নামাজে ৩০০ বার তাসবিহ পড়ার মাধ্যমে এ নামাজ আদায় করতে হয়। এটি সালাতুত তাসবিহ নামে পরিচিত।

সালাতুতু তাসবিহর অন্যতম ফজিলত হলো- মানুষের বিগত জীবনের গোনাহ মাফ এবং অনেক সাওয়াব লাভ হয়। রমজানে এ নামাজ পড়ার ফজিলত অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। রমজানের জুমআর দিনে এ নামাজে পাওয়া যায় অতিরিক্ত সাওয়াব। এ নামাজে سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ - সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার' তাসবিহটি ৩০০ বার পড়তে হয়।

>> সালাতুত তাসবিহ পড়ার নিয়ম
প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফাতেহা পড়া। প্রতি রাকাআতেই একটি সুরা মেলানো। প্রত্যেক রাকাআতে سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ অর্থাৎ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার-এ তাসবিহটি ৭৫ বার পড়তে হবে। প্রতি রাকাআতে নিচে উল্লেখিত নিয়ে ৪ রাকাআত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে সাতালাতুত তাসবিহ আদায় করতে হয়। নিয়ম হলো-

- নামাজের নিয়ত বেঁধে তাকবিরে তাহরিমার পর সুরা ফাতেহা পড়ার আগে এ তাসবিহ- سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ - ১৫ বার পড়া।

- সুরা ফাতেহা ও অন্য সুরা মিলানোর পর রুকুতে যাওয়ার আগে এ তাসবিহ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ - ১০ বার পড়া।

- রুকুতে গিয়ে- سُبْحَانَ رَبِّىَ الْعَظِيْم পড়ার পর এ তাসবিহ- سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ - ১০ বার পড়া।

- রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে رَبَّنَا وَ لَكَ الْحَمْد পড়ার পর এ সাতবিহ- سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ - ১০ বার পড়া।

- সেজদায় গিয়ে- سُبْحَانَ رَبِّىَ الْأَعْلَى পড়ার পর সেজদাতেই এ তাসবিহ- سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ - ১০ বার পড়া।

- দুই সেজদার মাঝে বসে اَللّهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ (পারলে) পড়ার পর বসা অবস্থায় এ তাসবিহ- سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ - ১০ বার পড়া।

- দ্বিতীয় সেজদায় গিয়ে- سُبْحَانَ رَبِّىَ الْأَعْلَى পড়ার পর সেজদাতেই এ তাসবিহ- سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ - ১০ বার পড়া।

একই নিয়মে দ্বিতীয় রাকাআতেও নির্ধারিত তাসবিহ ৭৫ বার পড়া। দুই রাকাআত পড়ার পর তাশাহহুদ পড়ে দাঁড়িয়ে বাকি দুই রাকাআত একই নিয়মে বাকি নামাজ সম্পন্ন করা।

>> মনে রাখতে হবে
তাসবিহ পড়ার সময় যদি কোনো স্থানে নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে কম তাসবিহ পড়া হয় তবে, পরবর্তী যে রোকনে তা স্মরণ হবে সেখানেই তা পড়ে নিলেই হবে।

আর কোনো কারণে যদি এ নামাজে সাহু সেজদার প্রয়োজন হয় তবে ওই সাহু সেজদায় এবং সাহু সেজদার মাঝে বসার সময়ও এ তাসহিব পড়তে হবে না। তাসবিহ পড়ার ক্ষেত্রে স্মরণ রাখার জন্য আঙুলের কর গণনা করা যাবে না তবে আঙুল চেপে তাসবিহ এর সংখ্যা স্মরণ রাখা যাবে।

>> সালাতুত তাসবিহ-এর ফজিলত সম্পর্কে হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (আমার পিতা) হজরত আব্বাসকে বললেন, ‘হে আব্বাস! হে চাচাজান! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে দান করব না? আমি কি আপনাকে সংবাদ দেব না? আমি কি আপনার সঙ্গে ১০টি সৎকাজ করব না? (অর্থাৎ ১০টি উত্তম তাসবিহ শিক্ষা দেব না) যখন আপনি তা (আমল) করবেন-
>> তখন আল্লাহ আপনার আগের, পরের, পুরাতন, নতুন, সবধরনের গোনাহ মাফ করে দেবেন।
>> ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত গোনাহ মাফ করে দেবেন।
>> সগিরা ও কবিরা (ছোট ও বড়) গোনাহ মাফ করে দেবেন।
>> গোপন ও প্রকাশ্য গোনাহ মাফ করে দেবেন।

(হে চাচা!) আপনি ৪ রাকাআত নামাজ পড়বেন এবং প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফাতেহা পাঠ করবেন এবং যে কোনো একটি সুরা মেলাবেন। (অর্থাৎ প্রত্যেক রাকাআতে এ তাসবিহটি ৭৫ বার করে আদায় করতে হবে।)

(অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে চাচা!) এভাবে যদি প্রতিদিন একবার এ নামাজ পড়তে সক্ষম হন; তবে তা পড়বেন। আর যদি সক্ষম না হন, তবে প্রত্যেক জুমআর দিনে একবার পড়বনে।
তাও যদি না পারেন, তবে প্রত্যেক মাসে একবার পড়বেন। তাও যদি না পারেন তবে প্রত্যেক বছর একবার পড়বেন, আর যদি তাও না পারেন তবে আপনার জীবনে অন্তত একবার পড়বেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজান মাস এবং জুমআর দিনে সর্বাধিক তাসবিহ সম্বলিত নামাজ পড়ে উল্লেখিত ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।