সরকারবিরোধী প্রচারণায় বিএনপি-জামায়াতের ‘নয়া কৌশল’!

ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের নামে একটি পক্ষ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির আশায় এবার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে ভুল পথে পরিচালনার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। তাদেরকে বোঝাচ্ছেন, সরকার ধর্ষণরোধ কিংবা দোষীদের কোন শাস্তিরই আওতায় আনছেন না। কিন্তু প্রকৃত তথ্য হলো, সরকারপ্রধানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধর্ষণ প্রতিরোধে এবং প্রকৃত অপরাধীদের সাজা প্রদানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও বিষয়টি আমলে না নিয়ে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত চক্রটি সরকারবিরোধী জনমত সৃষ্টির অদ্বিতীয় লক্ষ্যে অনড় তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশিষ্টজনদের ভাষ্য, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ‘গুজব সেল’ ও নিজেদের ‘পেইড এজেন্ট’র সাহায্যেও যখন বিএনপি-জামায়াত চক্র উন্নয়ন ও জনবান্ধব সরকারকে কাবু করতে পারছে না, তখন তারা কৌশলে জাতির ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি ছাত্রসমাজকে টার্গেট করে এবার রাষ্ট্রবিরুদ্ধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত করাচ্ছেন। তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। এখনই উপযুক্ত সময়।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সম্প্রতি বিএনপি-জামায়াত চক্রটি চলমান ধর্ষণ ইস্যুকে বিপথে পরিচালিত করে নিজেদের ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ধর্ষণবিরোধী গণবিক্ষোভ মিছিলের নামে সেখানে তারা সরকারের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মনগড়া ও ভিত্তিহীন আলোচনায় মাতেন।

ওই গণবিক্ষোভ মিছিলে তির্যক মন্তব্য করে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় বলেন, ধর্ষণরোধে সরকার কিছুই করছে না। এমনকি তারা মেয়েদেরও নিরাপত্তা দিতে পারছে না। পারছে না সাধারণ জনগণেরও। অনিক রায়ের বক্তব্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মন্তব্য রাজনৈতিক বিশিষ্টজনদের।

তাদের মতে, ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, অপরাধীর পরিচয় সে অপরাধী। দলীয় লেবাস লাগিয়ে অপরাধ থেকে পার পাওয়া যাবে না। শাস্তি অবধারিত। কিন্তু সরকারপ্রধান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসনীয় তৎপরতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্রটি ছাত্র সমাজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে তাদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে। স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী চক্রটির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য একটাই, সরকারের ইতিবাচক কর্মতৎপরতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নিজেদের ফায়দা হাসিল করা।

রাজনৈতিক বিশিষ্টজনরা আরও বলেন, কোনভাবেই যাতে একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে এবং নিজেদের স্বার্থ হাসিলের মাধ্যমে দেশকে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মতো জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারে; সে ব্যাপারে দেশবাসীর পাশাপাশি সরকারকেও সদাজাগ্রত দৃষ্টি রাখতে হবে।