• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

রফতানি খাতের কর্মহীন শ্রমিকরা পাবেন মাসে তিন হাজার টাকা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২০  

রফতানিমুখী উৎপাদনশীল শিল্প পোশাক খাত এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের কাজ হারানো শ্রমিকরা মাসে তিন হাজার করে টাকা পাবেন। টাকা দেয়া হবে তিন মাস পর্যন্ত। ব্যাংক হিসাব বা মোবাইল আর্থিক পরিষেবার (এমএফএস) মাধ্যমে শ্রমিকদের এ টাকা দেয়া হবে।

অর্থ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ টাকা দেয়ার জন্য আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সরকারের আরেকটি প্রণোদনা প্যাকেজ আসছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং জার্মানির দেয়া অর্থে এ প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে টাকা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রস্তুতির অভাবে তা কিছুটা দেরি হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনার কারণে দেশের অনেক শিল্পকারখানা লম্বা সময় বন্ধ রাখতে হয়েছে। তাতে রফতানি কমে গেছে। কোনো কোনো কারখানা মজুরি কমিয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে, অনেক কারখানা শ্রমিক ছাঁটাই করেছে। হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়া সেসব শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়েছে ইইউ ও জার্মানি।

ইইউ ও জার্মানি দিচ্ছে ১১ কোটি ৩০ লাখ ইউরো। এর মধ্যে ইইউ দিচ্ছে ৯ কোটি ৩০ লাখ, বাকি দুই কোটি ইউরো জার্মানির অনুদান। সোমবারের দর অনুযায়ী প্রতি ইউরো ১০০ টাকা ৪৭ পয়সা হিসাবে মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ১৩৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

সূত্র জানায়, করোনার কারণে চাকরি হারিয়েছেন বা লে-অফ হওয়ার কারণে মজুরি পাচ্ছেন না, এমন ১০ লাখ শ্রমিককে আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার। ১০ লাখ শ্রমিককে মাসে তিন হাজার টাকা করে তিন মাস দিতে গেলে ৯০০ কোটি টাকার দরকার পড়বে।

এদিকে রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে গত এপ্রিলে সরকার ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিয়ে তিন মাসের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়। দুই মাসেই টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় পর আরও দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। তাতেও সংকুলান না হওয়ায় আরও তিন হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়, যা এখন চলমান।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রফতানিমুখী সব শিল্পের জন্য এই প্যাকেজ করা হলেও সুবিধাটি নিতে পেরেছে পোশাক খাত।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থে মাসে তিন হাজার টাকা করে তিন মাস টাকা পাওয়ার তালিকায় প্রাথমিকভাবে পোশাক এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের কথা ভাবা হয়েছে।